গৃহকর্মীকে গর্ভবতী করে বিয়ে দিলেন শিক্ষা অফিসার
জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর ইউপির রঘুনাথপুর গ্রামে গৃহকর্মীকে গর্ভাবতী করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগে এক সহকারী শিক্ষা অফিসারের বাড়ি ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার নাম মাজেদুল ইসলাম। সে মেলান্দহ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার।
বিয়ের দুই মাসের মাথায় ওই গৃহকর্মী সাত মাসের সন্তান প্রসব করায় এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় ওই গৃহকর্মী বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে ফেইসবুকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মাজেদুল ইসলাম আত্মগোপন করেছেন।
ওই গৃহকর্মী জানান, প্রায় এক বছর আগে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউপির রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব মাস্টারের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন। কিছুদিন কাজ করার পর গৃহকর্তা মাজেদুল ইসলাম স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতি শনিবার তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে।
এক পর্যায়ে তাকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা ফাঁস না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয় মাজেদুল। এরপর থেকেই প্রতি শনিবার স্ত্রী স্কুলে চলে যাবার পর নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। এ অবস্থায় তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে চতুর শিক্ষা অফিসার দুই মাস আগে জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর ইউপির পিঙ্গল হাটি গ্রামে রোকন নামে এক যুবকের কাছে তাকে বিয়ে দেয়।
বিয়ের দুইমাস পার হতেই সাত মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে সে। এ ঘটনা জানাজানির পর সে প্রতিবেশীদের কাছে গৃহকর্তা মাজেদুলের পাশবিক যৌন নির্যাতনের কাহিনী খুলে বলে।
জামালপুর সদর থানার ওসি সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মাজেদুল ইসলামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা নেয়া হয়েছে। গৃহকর্মীর গর্ভের মৃত সন্তানের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাজেদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য ওই সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।