নিরাপদ আম রপ্তানিতে প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা
নিরাপদ আম রপ্তানিতে প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না মধ্য স্বত্বভোগীরা। কালিগঞ্জ উপজেলায় এক শ্রেণীর আম ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ক আম গাছ থেকে আম পেড়ে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে বাজারজাত করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই হীন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। ৯ মে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নিরাপদ আম বাজারজাত করণ বিষয়ে ব্যবসায়ী চাষী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকতার্দের সাথে মতবিনিময় কালে আরডিসি আমিরুল ইসলাম জানান, আম পাড়ার ১৫ দিন আগ থেকে গায়ে কোন ধরনের স্প্রে করা যাবে না। কোন অবস্থাতেই স্প্রে করার ১৫ দিনের ভেতর আম সংগ্রহ করা যাবে না। এছাড়া হিম সাগর মে মাসের ৩য় সপ্তাহ, গোপাল ভোগ মে মাসের ৩য় সপ্তাহ, নেংড়া আম জুন মাসে এবং রুপালী আম জুলাই মাসে পাড়া যাবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১২ মে ২০১৯ থেকে গোবিন্দ ভোগ আম পাড়া যাবে। সভায় সিদ্ধান্তের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলায় এক শ্রেণীর আম ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে আম পরিপক্ক হওয়ার আগেই গাছ থেকে পেড়ে ভারতীয় রাইফেন নামক বিষাক্ত রাসায়নিক ক্যামিকেল ব্যবহার করে ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে আম বাজারজাত করছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় কুশুলিয়া, মৌতলা, শ্রীকলা, রতনপুর, ধলবাড়িয়া, নলতা চাম্পাফুল ইউনিয়ন একটি আম সমৃদ্ধ গ্রাম। এ এলাকার মৌসুমি ফল জামরুল, লিচু, আম অতি সুস্বাদু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আম গাছে মুকুল আসার আগেই দরিদ্র গাছ মালিকদের কাছ থেকে স্বল্প মুল্যে অগ্রিম গাছ ক্রয় করে। আম ব্যবসায়ীরা গাছে পরিচর্চা করে থাকে। গাছে আম পরিপক্ক হওয়ার আগেই বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে আম গাছ থেকে আম পেড়ে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করে প্লাষ্টিকের ক্যারেটে ভরে ট্রাক যোগে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে। শুক্রবার (১০ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা কুশুলিয়া জোড়া আমতলা রাস্তার উপর দিয়ে দেখতে পায় কয়েকটি ট্রাক রাস্তায় দাড় করিয়ে লেবাররা বিভিন্ন গাছ থেকে আম এনে প্লাষ্টিকের কাটুনে করে ট্রাকে তুলছে। অপরিপক্ক আম পাড়া ও বাজারজাত করনের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বলে আমরা কাজ করছি মালিকেরা নেই।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। বেলা ১২টার দিকে এক পর্যায়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে যেয়ে স্বচোখে ঘটনা দেখার পরে বলে আমার কিছু করার নেই স্যারেরা ব্যবস্থা নিবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন পরবর্তিতে এহেন অভিযোগ এলে আমি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আম বিনষ্ট করে দিবো।