আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে ২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র আঘাতে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত বা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পবিত্র রমজানের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তেমন প্রভাব সৃষ্টি না হলেও সামনে ক্লাস পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা বিরাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে আশাশুনিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও জান মালের ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব থেকেই সরকারি ভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। ফলে জীবনের ক্ষতি না হলেও ধান ফসল ও আম ফসলের পাশাপাশি শাক-সব্জীর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অনুরূপ ভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে সহস্রধিক ঘরবাড়ি, দোকান-পাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত ও ঘরের ছাউনি উড়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাজী জালাল উদ্দিন আদর্শ কলেজের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। পূর্ব কাদাকাটি জেকেটি নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গোদাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কচুয়া বিএইচবিপি আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বলাবাড়িয়া আমজাদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নাকনা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আনুলিয়া পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফকরাবাদ জেবি নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। বুধহাটা এনএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। সরাপপুর মশিউরিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। পুইজালা বিএমআরবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আশাশুনি দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। রাজাপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। খাজরা হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। চাকলা দাঃ সুঃ আমিনিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। বদরতলা জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। কুড়িকাহুনিয়া এ এস (রাঃ) মহিলা দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। প্রতাপনগর আল আমিন মহিলা আলিম মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। জেডিকেএফ গোয়ালডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বিপিএনকে চিলেডাঙ্গা ওসমানিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। নৈকাটি দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল পড়ে গেছে। বুধহাটা কওছারিয়া দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে ও দেয়াল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। নাংলা ডিজি কপোতাক্ষ দাখিল মাদরাসার সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে এবং দেয়াল ও প্রাচিরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সর্বমোট সাড়ে ৮২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গৃহ বা ঘরগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আগামী ঈদ-উল- ফিতরের পর স্কুল ও মাদরাসা খোলার আগেই এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার বা পুন নির্মাণের ব্যবস্থা না নিলে ক্লাস পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম বিপত্তি নেমে আসতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ পূর্বক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানান হয়েছে। আশা করা যায় যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।