দেশের সর্ববৃহৎ ইফতার মাহফিল নলতায় ১ম দিনে রোজাদারের ঢল
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফে পীর-এ কামেল বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মোজাদ্দেদ, অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংস্কারক, প্রখ্যত সাহিত্যিক, সমাজ সেবক, আত্মাধিক সাধক, সমাজ সংস্কারক, জ্ঞান তাপস, মুসলিম রেনেঁসার অগ্রদুত, মুক্তবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার অধিকারী, মনোচিকিৎসক, ঐতিহাসিক, দার্শনিক সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গওছে জামান আরেফ বিল্লাহ হজরত শাহ্ ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউলা (রঃ) এঁর হাতে গড়া ‘‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা” ব্রত নিয়ে চলা নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও পাক রওজা শরীফের শ্রদ্ধেয় খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদ’র তত্ত্বাবধানে নলতা পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে গতকাল রমজানে ১ম দিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ৬ সহস্রধি রোজাদার অংশ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মসজিদে ৪ সহস্রধিক রোজাদারদের জন্য নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে ইফতারী পাঠানো হয়েছে বলে মিশনের কর্মকর্তা আলহাজ্জ শিক্ষক সাইদুর রহমান ও হিসাব রক্ষক মোঃ এবাদুল হক জানিয়েছেন। তারা আরো জানান মিশনের রন্ধনশালায় নিজস্ব কারিগরদ্বারা কিছু ইফতারির মেনু প্রস্তত করে ও বাইরে থেকে ক্রয় করে প্রতিদিন মোট ৭ প্রকারের ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে আছে ডিম. ছোলা, চিড়া, পাকা কলা, খেঁজুর, সুজির ফিন্নি ও সিঙ্গাড়া। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সুষ্ঠু ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য পরিবেশে রমজানের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত অব্যহাত ইফতার মাহফিলে যাতে রোজাদাররা ইফতার করতে পারেন সেজন্য মিশন কর্তৃপক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারদিকে বাঁশের রেলিং ও মাথার উপরে টিনের ছাউনি দ্বারা মনোরম পরিবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও রোজাদারদের সুষ্ঠভাবে ইফতারী করতে সারিবদ্ধভাবে বসার ব্যবস্থা, ইফতারীর প্লেট ও গ্লাস দেওয়ার জন্য প্রতিদিন মিশন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কয়েকশত স্বেচাসেবক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উক্ত ইফতার মাহফিলে পবিত্র কোরআর ও হাদীসের আলোকে মূল্যবান আলোচনা রাখেন ও দোয় পরিচালনা করেন, নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ আশরাফুল ইসলাম আজিজি। দুরুদ পরিবেশন করেন, হাফেজ মোঃ হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আশিকুর রহমান। এদিকে ইফতার করতে আসা রোজাদারদের বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন ও জুতা যাতে চুরি না হয় সেজন্য মিশন কর্তৃপক্ষ নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছে। এভাবেই রমজানের শেষ পর্যন্ত ইফতার মাহফিল অব্যাহত থাকবে বলে মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।