কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সন্ধ্যার পরে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ মোনায়েম হোসেন (মোমেন) ও তার সহযোগী ফজের আলী সন্ধ্যার পরে নারী এনে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তাদেরকে শ্রেণি কক্ষের তালা খুলে দিয়ে সহযোগিতা করে ওই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী রিয়াজুল এমনই জানালেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার পরে দুইজন মহিলা নিয়ে স্কুলের ভিতরে দুটি কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষক মোমেন ও কালিগঞ্জ পোষ্ট অফিসে কর্মরত ফজের আলী। এসময় তাদেরকে কক্ষের তালা খুলে দেন নৈশ প্রহরী রিয়াজুল। পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ যেয়ে হাজির হয় ঘটনাস্থলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোমেন ও ফজের আলী পালিয়ে যায়। কিন্তু ওই দুই মহিলাকে পুলিশ ধরে ফেলে। পুলিশ ওই দুই মহিলার কাছে সন্ধ্যার পরে ওই শ্রেণি কক্ষের ভিতরে থাকার কারণ জানতে চাইলে তারা উত্তর দেয় সহকারী শিক্ষক মোমেন তাদেরকে আসতে বলেছে। পরবর্তীতে অনেক জিজ্ঞাসা বাদের পরে পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থলে ছেড়ে দেয়।
এরপর বিষয়টি স্থানীয় ভাবে জানাজানি হয়ে গেলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে একটি তদন্তটিম গঠন করে দিয়েছে বলে জানাযায়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নৈশ প্রহরী রিয়াজুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,দুইজন মহিলা সন্ধ্যার পরে স্কুলে এসেছিল। এবং পুলিশ এসে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন শিক্ষক মোমেন তাদের আসতে বলেছে। তবে মোমেন স্যার ঘটনা স্থলে পরে এসেছিলেন তার সাথে ফজের আলী ছিলেন বলে জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সহকারি শিক্ষক শেখ মোমেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৭১০-১২০০৮৮) একাধীকবার ফোন দিলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ফজের আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৭২৬-২৫৯১০৭) কয়েকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ওয়াজেদ আলী বলেন, বিদ্যালয়ের ভিতরে এমন অসমাজীক কার্যকলাপের বিষয়টি শুনেছেন। এজন্য তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারবেন।