পাটকেলঘাটাসহ বিভিন্ন হাট বাজারে চলছে হালখাতার জোয়ার
পাটকেলঘাটাসহ বিভিন্ন হাট বাজারে চলছে হালখাতার জোয়ার। যদিও প্রতি বছরের তুলনায় এবার একটু দ্রুতই শুরু হয়েছে হালখাতা। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ও বুধবার প্রায় ৫ শতাধিক বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শুভ হালখাতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের সূচনা করতে মরিয়া হয়ে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। পুরানো বছরের হিসাব মিটিয়ে নতুন করে আবারো দেনা পাওয়ানার হিসাব করতে শুরু করবে দোকানীরা। তবে কৃষককূল পড়েছে মহা বিপদে,এক দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি অন্যদিকে তাড়াতাড়ি হালখাতা দেওয়ায় তাদের ফসলি জমির শস্য বিক্রি করার টাকার জন্য চাপ থাকছেই। সূত্রে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে দ্রুতই হালখাতা শেষ করে পুরানো লেনদেন মিটিয়ে আবারো নতুন করে বাকি বিক্রি শুরু হবে। তাড়াতাড়ি হালখাতা দেওয়ায় লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণির পুঁজিপতিরা। মহাজনি ব্যবসাও মহামারির আকার ধারণ করেছে। চড়া সূদে টাকা নিয়ে অনেককে হালখাতার ঝামেলা মেটাতে হচ্ছে। নতুন করে জন্ম নিয়েছে সুদখোর শ্রেণীর। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদে টাকা প্রদান করছে স্থানীয় বিভিন্ন ভূঁইভোড় এনজিও ও সমিতিগুলো। বাইগুনি গ্রামের আতিয়ার রহমান জানান, আমার ৫ বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তোলার আগে হালখাতা শুরু হয়েছে,বাধ্য হয়ে ২০ হাজার টাকা চড়া সুদে নিয়ে হালখাতা করতে হবে। যদি আর ১০/১৫ দিন পরে হালখাতা শুরু হতো তাহলে কোন সমস্যা ছিলোনা। এদিকে একই ধরনের কথা বলেছে, বড়বিলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, বাইগুনি গ্রামের আব্দুর রহিম, তৈলকুপি গ্রামের রুহুল আমিন, যুগিপুকুরিয়া গ্রামের রহমত আলী, কুমিরার মফিদুল ইসলাম, দাদপুর গ্রামের বকুল হোসেন, শাহদহ গ্রামের জামাল উদ্দীন, ইসমাইল হোসেনসহ আরো অনেকে। অপর দিকে পাটকেলঘাটা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আল্লাহর দান বস্ত্রালয়ের মালিক শেখ অহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, অগ্রিম রোজা চলে আসায় এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে আমাদেরকে এবার হালখাতা দ্রুত করতে হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের মালিক মহাজনদের দেনাপাওয়া মিটিয়ে নতুন করে মালামাল নিয়ে আসতে হবে। তবে হয়তো আগামী বছর আমাদের ঈদের পরই হালখাতা করতে হবে বলে তিনি জানান।