আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় ফণি’র প্রভাবে বেড়ী বাঁধ ওভার ফ্লো:আশ্রয়কেন্দ্রে উপকুলবাসী
আশাশুনিতে ঘূর্ণি ঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে নদীতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ী বাঁধ ওভার ফ্লোর ঘটনা ঘটেছে। আশ্রয় শিবিরে এ পর্যন্ত ৯ সহস্রধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। চাউল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সিপিপি’র পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার ২৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৮১টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সিপিপি স্বেচ্ছাবকরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সহস্রধিক মানুষ বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টার, আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ স্কুল, মাদরাসা, কলেজ ও নিরাপদ বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। শুক্রবার দুপুরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া ওয়াপদার বাঁধ ওভার ফ্লো করে পানি ভিতরে ঢুকতে শুরু করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জন প্রতিনিধি ও ২ শতাধিক মানুষ নিয়ে বাঁধ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাঁধ ভাঙ্গনের হাত থেকে সুরক্ষিত ছিল।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন সম্ভাব্য ঘূর্ণি ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৩ জন করে সরকারি কর্মকর্তাকে ট্যাগ করে মোট ৩৩ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করেছেন। তারা স্বস্ব ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বাসিন্দাদের নিরাপদে নিয়ে আসার কাজ মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়নে ১টি করে ও উপজেলা সদরে একটি মেডিকেল টিম কাজ করছেন। পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট সরবরাহসহ চিকিৎসা সেবার দায়িত্বে আছেন তারা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আশাশুনিতে ১০ মেঃটন চাউল ও এক লক্ষ টাকা জিআর ক্যাশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১ মেঃটন প্রতাপনগরে এবং শ্রীউলা, আনুলিয়া ও খাজরায় অর্ধ মেঃটন করে চাউল ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার মোবাইল নং- ০১৭১৯৫৩৭১৩২। সকল ইউনিয়নে সিপিপির উদ্যোগে জনসচেতনতা মুলক কাজ করা হচ্ছে। ১৫১৫ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক এ দায়িত্বে আছেন। সংকেত পতাকা উত্তোলন, মাইকিং ও বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী মাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়িতে বসবাসকারী ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান জানান, কুড়িকাহুনিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পাউবো’র দেওয়া বস্তায় বালি ভরে বাঁধে দেওয়া হচ্ছে। সকল আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও খাদ্য-পানি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।