‘ফণি’র প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি
খুলনা ও এর আশেপাশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে খুলনা ও বরগুনায় ভোর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতেও সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে নেমেছে বৃষ্টি। একইসঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া।
উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে গত ৪৩ বছরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ‘ফণি’ ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হেনেছে। তীব্র হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে রাস্তার পাশে উপড়ে পড়েছে গাছ এবং ইলেকট্রিক পিলার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। যদিও ঝড়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচানোর জন্য নিরাপদে আশ্রয়ে আছেন সবাই।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের (আইএমডি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উড়িষ্যার দক্ষিণের পুরী উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ফণি আঘাত হানে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার।
হ্যারিকেনের তীব্রতা নিয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’। সময় যত যাচ্ছে, ততই শক্তি সঞ্চয় করছে ঝড়টি। প্রতি মুহূর্তে এটি গতিপথ পরিবর্তন করে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। প্রথম আঘাত ভারতের উড়িষ্যা হানলেও, এর তীব্রতা থেকে মুক্ত নয় বাংলাদেশও। এর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে উভয় দেশই।
দুর্যোগ মোকাবিলা করতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সবাইকে নিরাপদ স্থানে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে সবসময় জানানো হচ্ছে পূর্বাভাস। এরইমধ্যে দেশের সব সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।