ঘূর্ণিঝড় “ফণী” মোকাবেলায় কালিগঞ্জে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে
ঘূর্ণিঝড়”ফণী”র মোকাবেলায় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা সাইক্লোন সেল্টার গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবক, মেডিকেল টিম, ইউনিয়ন পর্যায়ে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া জনপ্রতিনিধি, এনজিও সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে ফণী মোকাবেলায় অবহিত করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ও,বিষ্ণুপুর, রতনপুর, ধলবাড়িয়া, মথুরেশপুর, ভাড়াশিমলা, চাম্পাফুল ইউনিয়ন সংলগ্নের ওয়াপদার ভেঁড়িবাধ পরিদর্শন করেন। ফণী মোকাবেলায় প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিননি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কালিগঞ্জ সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
১২ টি ইউনিয়নের ১শ ৮টি ওয়ার্ডে তথ্য প্রদানে প্রতিনিধি দেওয়া হয়েছে। উপজেলার মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক ভাবে প্রচারের জন্য মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত বুধবার (১ লা মে) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, চিকিৎসক, ফায়ার সার্ভিস সদস্য ও সুধীবৃন্দের অংশগ্রহণে প্রস্তুতি মিটিং করা হয়। উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘনীভূত ও উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে (শুক্রবার) বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হয়ে ৩ মে সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও কাছাকাছি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।