ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৪৩ বছরের ইতিহাসে এটিই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। প্রকৃতিসৃষ্ট এসব দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর কী করবেন, তা জেনে রাখা জরুরি।
দুর্যোগ হতে পারে এমন মাসগুলোতে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে ঘূর্ণিঝড় হবার আশঙ্কা থাকে।
আবহাওয়ারে পূর্বাভাস শোনার অভ্যাস করা জরুরি। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়মিত শুনুন। নৌকা, লঞ্চ ও ট্রলারের ক্ষেত্রে অবশ্যই রেডিও রাখতে হবে।
বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম যেমন ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক প্রভৃতি রাখুন; কাজে লাগতে পারে নিজের ও প্রতিবেশির।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা অন্য আশ্রয় নিতে যাবার সময় কী কী জরুরি জিনিস সঙ্গে নেয়া অতি আবশ্যক এবং কী কী জিনিস মাটিতে পুঁতে রাখা যেতে পারে; তার তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
আর্থিক সঙ্গতি থাকলে ঘরের মধ্যে অথবা বাড়ির কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় পাকা গর্ত তৈরি করে রাখতে পারেন। এই পাকা গর্তের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে খাদ্যের প্রস্তুতি জরুরি। বাড়িতে বিভিন্ন রকম শুকনো খাবার যেমন-চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ইত্যাদি সংরক্ষণ করুন।
নোংরা পানি কিভাবে ফিটকিরি ও ফিল্টার দ্বারা খাবার ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায় সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিন।
ঘূর্ণিঝড়ের ফোন ফুল চার্জ করে রাখুন। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ফোন ফুল চার্জ না থাকলে আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অসুবিধা হবে।
বড় ড্রাম কিংবা বালতিতে যতটা সম্ভব পানি ধরে রাখুন। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরে পানির লাইনও সাময়িক বন্ধ থাকতে পারে।
হাতের কাছে পর্যাপ্ত মোমবাতি, গ্যাস লাইট ইত্যাদি রাখুন।
ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়ে গেলে বাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করুন।
ঘূণিঝড় সম্পর্কে নিতে বিস্তারিত জানুন; পরিবার সদস্যদের অবহিত করুন; আশপাশের মানুষকেও জানান।