বকেয়া টাকা না দিলে জিপির কল ব্লক এনওসি বন্ধ
অডিট হিসাবে গ্রামীণফোনের পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আদায়ে কঠোর হবে বিটিআরসি। এই টাকা না দিলে অপারেটরটির এনওসি বন্ধ, কল ব্লক এমনকি লাইসেন্সের বিষয়ে শোকজ কর হতে পারে।
সোমবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এর সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিষয়গুলো জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক।
বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল আনোয়ার খান শিপুর সঞ্চালনায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মুজিব মাসুদ।
এসময় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদ বাপ্পীসহ টিআরএনবির কার্যনির্বাহী কমিটি ও এর সদস্যরা বৈঠকে ছিলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রামীণফোন বলতে পারবে না যে, তাদের কথা শোনা হয়নি। এখন যদি হেরে যায় তাহলে সবাই বলে আমার কথা শুনলো না। গ্রামীণফোনের এই বক্তব্য ঠিক নয়।’
গ্রামীণফোনের বক্তব্য শোনা হয়েছে। না শুনে কখনও কোনো অডিট নিস্পত্তি হয় না উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। এরপর অডিট ফাইনাল হওয়ার পর এক বছর সময় চলে গেছে।
তারা বিভিন্ন সময় এই-সেই ব্যাখ্যা দেয় কিন্তু টাকা দিতে চায় না। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে যে আইন অনুয়ায়ী যা হওয়ার তাই হবে।
’গ্রামীণফোন কী ভাবলো, কী বললো তাতে কিছু যায়-আসে না। গ্রামীণফোনের কাছে টাকা ক্লেইম করবো। টাকা না দিলে আইনে যা যা স্টেপ নেয়ার কথা বলা আছে তা নেয়া হবে। তাদের যেসব সুবিধা দেয়ার কথা তাও দেয়া হবে।
তারপরও যদি না দেয় তাহলে এনওসি বন্ধ করা, প্রয়োজনে কল ব্লক করে দেয়া, লাইসেন্সের বিষয়ে শোকজ করার মতো পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। এগুলো আইনের জিনিস, আইন গোপন কিছু না। আইনে যা যা ক্ষমতা আছে সব প্রয়োগ করা হবে’ বলছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, টাকা গ্রামীণফোনকে দিতেই হবে তা সে যাই করুক। যত দেরি করবে তত ইন্টারেস্ট বাড়বে । বৈঠকে টিআরএনবির নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান।