পাটকেলঘাটায় পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে
পাটকেলঘাটা সহ আশপাশের সকল কৃষকরা গত কয়েকদিন ধরে ধান কাটায় ব্যস্ততার সময় পার করছে। প্রচন্ড খরতাপে মাঠ-ঘাট যখন ঝলসানো রোদ্দুর এতদা লের কৃষকগণ তখন নাওয়া খাওয়া পিছনে ফেলে ধান গাছ গুলোকে ঘরে তোলার জন্য ব্যস্থতার কোনো কমতি নেই তাদের মাঝে। সপ্তাহ খানেকেরও বেশি সময় ধরে কোথাও আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা দিলে কৃষকের বুকে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করে। এতোদিনের কষ্টার্জিত সোনালী ফলন ইরি-বোরো ধান যদি বৃষ্টি বাদলে নিমেষেই শেষ হয়ে যায় সেই চিন্তায় উদ্বিগ্ন কৃষককুল। যদিও প্রকৃতির বুকে গাছপালা ফসল বাচাতে এক পশলা বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন তদ্রূপ বৃষ্টির আগেই ধান গাছগুলো বাড়িতে তোলা খুবই জরুরি।
সরেজমিনে পাটকেলঘাটা সহ তালা উপজেলার প্রত্যন্ত অ লের মাঠ-ঘাট, চর এলাকায় ঘুরে ও খোজ খবর নিয়ে দেখা যায়, পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও ধান কাটা, গোছানো এবং সেগুলো ঝেড়ে বস্তা ভর্তি করে ঘরে তুলতে লেশ মাত্র ত্রুটি রাখছেন না। মহিলারাও পুরুষের পাশাপাশি দিন মজুর হয়ে অন্যের ক্ষেতগুলোতে শ্রম দিয়ে টাকা আয় করছে। বাড়ির মহিলাগণও নিজেদের ধানগাছগুলোকে ঘরে তুলতে সন্তানদের সাথে নিয়ে কাজে নেমে পড়ছেন সমানভাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিধাতার কাছে ফসল ঘরে তুলতে শুকরিয়া আদায় করছেন তারা। দেখা যায়, এবছর ইরি-বোরো ধান গাছ গুলোতে অধিক মাত্রায় বেশ ভালো ফলন হয়েছে। যদিও গাছ হতে শীষ বের হওয়া কালীন প্রচুর শিলা বৃষ্টি পড়ায় কৃষক সমাজ খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলো। কেননা এসময়ে শীষগুলো ঝড়ে মাটিতে পড়ে গেলে কিংবা শিলা বৃষ্টি আাঘাত হানলে তাতে চিটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সকল কিছুকে পিছনে ফেলে দেখা যায়, এবছর ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদী উপজেলা কৃষি অফিস। তবে দাম নিয়ে তাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। থানার কুমিরা ইউনিয়নের আব্দুস সালামের পুত্র শহিদুল ইসলাম জানান, এবছর ইরি বোরো ধানে সন্তোষজনক উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমি সহ সকলে ধানগাছগুলো ঘরে তুলতে ব্যস্থতার সময় অতিবাহিত করছি। সরুলিয়া ইউনিয়নের রুবেল হোসেন বলেন, কিছু দিন আগে ভারি মাত্রায় শিলা বৃষ্টি হওয়ায় আমরা কৃষকরা খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এতে আমাদের ফসলের কোনো ক্ষতি না হওয়ায় আশাকরি ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।