কেশবপুরে সমাজ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন অনন্য প্রতিভাবান সাংবাদিক এস আর সাঈদ
কেশবপুরে সমাজ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন অনন্য প্রতিভাবান সাংবাদিক এস আর সাঈদ।
জানাগেছে, সাংবাদিক এস আর সাঈদ ২৮ আগস্ট ১৯৭৭ ইং তারিখে কেশবপুর উপজেলার ভেরচী গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ডাঃ আজিজুর রহমান গাজী ও মাতার নাম বেগম হালিমা রহমান। এস আর সাঈদ ১৯৯২ সালে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে এইচএসসি, ১৯৯৭ সালে বিএসএস অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ও ১৯৯৮ সালে এমএসএস পাশ করেন। ১৯৯৭ সালে ছাত্র অবস্থায় দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। ১৯৯৮ সালে ডিসেম্বর মাসে মণিরামপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে অপর এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি বিবাহ করেন। তাঁর স্ত্রী দিলরুবা পারভীন ববি বর্তমানে কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি ১টি কন্যা ও ১টি পূত্র সন্তানের জনক। এস আর সাঈদ ২০০২ সালে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাকে যোগদান করে দেশের কয়েকটি জেলায় তিনি চাকুরী করেন। চাকুরী করা কালীনও তাঁর কলম থেমে থাকেনি। ২০১২ সালে রংপুরে চাকুরী করা কালীন তাঁর স্ত্রী দিলরুবা পারভীন ববি দুশ্চিন্তা করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার কারণে তিনি চাকুরী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে কেশবপুরে স্ত্রী সন্তানদের মাঝে ফিরে আসেন। আবারও তিনি সাংবাদিকতায় যোগদেন। দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার পাশাপাশি তিনি কপোতাক্ষ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের কেশবপুর প্রতিদিনের সহ-সম্পাদক, দৈনিক সমাজের কথা, দৈনিক জনতা, দৈনিক খবরপত্র ও ইংরেজী দি ডেইলী বাংলা এসকাই পত্রিকায় লিখছেন। তিনি প্রথমে কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রায় ২ বছর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করার পর সেখান থেকে পদত্যাগ করে ২০১৪ সালে তিনি কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করার পর ২য় মেয়াদেও তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এক ঝাঁক উদীয়মান সাংবাদিকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য সাংবাদিক সংগঠন হিসাবে কেশবপুরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
এদিকে সাংবাদিক এস আর সাঈদ তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, ইফটিজিং প্রতিরোধ, মানবপাচার প্রতিরোধ, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া রোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে চলেছেন। তিনি মাদক মুক্ত সমাজ গঠনেও কাজ করছেন। পিছিয়ে পড়া দলিত জনগোষ্ঠীর জীবন-মান ও ভাগ্যের উন্নয়নে তিনি কাজ করে চলেছেন। তাঁর কলম সকল সময়ে অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে গর্জে ওঠে। কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভায় সকল জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের সাথে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনেও তাঁর ব্যাপক পাদচারণা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সকল অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থেকে তাঁদের সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি সততা ও নীতিমান সাংবাদিক হিসাবে ইতিমধ্যে উপজেলা বাসির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এদিকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উৎসাহে তিনি গত ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিয়া পাখি প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭ হাজার ৫৮ ভোট পেয়েছিলেন। তাঁকে টিয়াপাখি প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। নির্বাচিত না হতে পেরেও তিনি উপজেলা বাসির পাশে থাকার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ জানান, তিনি সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে আরো ভূমিকা রাখতে উপজেলা বাসির নিকট দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।