সাতক্ষীরার বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার রেজাউল করিমের দাফন সম্পন্ন
সাতক্ষীরার বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাষ্টার শেখ রেজাউল করিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের মঙ্গলানন্দ কাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার শেখ রেজাউল করিমের জানাজার নামাজে জেলা ,উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, শিক্ষক, তার অসংখ্য ছাত্র, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, নিকট আত্মীয়-স্বজন অংশ নেয়।
জানাজার নামাজে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক এমপি , সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাতক্ষীরার প্রবীণ আইনজীবী ও সাংবাদিক এ্যাড: এ.কে.এম শহীদউল্যাহ, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম, তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমান, খেষরা ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য মীর জাকির হোসেন, সাংবাদিক আব্দুল জব্বার, অ্যাড: আব্দুস সামাদ, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ সাধু প্রমুখ।
মাষ্টার রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকায় তার ছোট ছেলের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো। হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি ২ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
এলাকায় তিনি দাদা ভাই হিসেবে অতি পরিচিত ছিলেন। মাষ্টার শেখ রেজাউল করিম আওয়ামী লীগের একজন কান্ডারী ছিলেন। সবার প্রিয় শিক্ষক রেজাউল করিম দীর্ঘ জীবন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সর্বশেষ বালিয়াদহ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বহু আগেই তিনি অবসরে যান। আওয়ামী লীগের সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বার বার। তিনি দুই দুই বার তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। কখনো ক্ষমতার লোভ তাকে কাছে টানেনি। বঙ্গবন্ধুর সাথে বর্ষীয়ান এই নেত রাজনীতি করেছেন। মারা যাওয়ার আগপর্যন্ত তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। তালা দলুয়া কলেজের সভাপতিসহ এলাকার অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন।
তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসেছে। মৃত্যুর খবর শুনে আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতা-কর্মী, সুধী, আত্মীয়-স্বজন তার গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান একনজর দেখার জন্য। তার হাতে গড়া বহু ছাত্র দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আজ অবস্থান করছেন। তিনি এজন আদর্শবান শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। যেখানেই ন্যায় সেখানেই তার ভূমিকা ছিল লক্ষণীয়। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথানত করেননি তিনি।
দাফনের আগে বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মাষ্টার শেখ রেজাউল করিমের কফিনে ফুলদিয়ে শেখ বারের মতো শ্রদ্ধা জানান তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।