খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে পাইলিং ও বস্তা ফেলানোর কাজ চলছে

আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন স্থানে মঙ্গলবার ও বুধবার সারাদিন সহস্রধিক বাঁশ দিয়ে পাইলিং ও বস্তায় মাটি ভর্তি করে বাঁধে ফেলানোর কাজ করা হচ্ছে। ভাঙ্গন রক্ষা না হওয়ায় এ পর্যন্ত প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের পরিমল মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এপর্যন্ত প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া গ্রাম এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, কলিমাখালী, মাড়িয়ালা ও লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে এলাকার শতাধিক মাছের ঘের ভেসে গেছে। ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে পানিবন্দী বেশকিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি। বহু মানুষ ও পশুপাখি পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের উদ্যোগে মঙ্গলবার ও বুধবার সহস্রধিক বাঁশ ও ৮ মন কাটা-পেরেক কাজে লাগিয়ে পাইলিং এর কাজ শেষ করে বুধবার ভাটার সময় ১১ হাজার বস্তায় মাটি ভরে বাঁধে ফেলানোর কাজ চলছে। জোয়ারের লেবেল পর্যন্ত এখনো বস্তা মা মাটি ভরাটের কাজ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার পুনরায় কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে আটঘাট বেধে কাজ শুরু করা হবে বলে জানাগেছ।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, মঙ্গলবার পুরোদিন ও বুধবার পাইলিং ও বস্তায় মাটি ভরে বাঁধে ফেলানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ক্লোজারের কাজ করা হবে। এ সময় সুষ্ঠুভাবে কাজ শেষ করা গেলে অর্থাৎ বাঁধ আটকানো সম্ভব হলে ইনশাল্লাহ নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত হবেনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান, এসও আবুল হোসেন বাঁধ পরিদর্শন করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)