শ্যামনগরে বখাটের কু প্রস্তাব আর হুমকিতে অসহায় কলেজ ছাত্রী

বখাটেদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্মম প্রহারের শিকার হয়েছেন কলেজ ছাত্রী মাহফুজা খাতুন। তার বুকের হাড় পাঁজর ভেঙ্গে গেছে। দেহের নানা স্থান আঘাতে জর্জরিত হয়েছে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানা কোনো মামলা না নেওয়ায় বখাটেরা উৎসাহ বোধ করছে । অপরদিকে মাহফুজার পরিবারও হয়ে পড়েছে আতংকিত।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন কলেজ ছাত্রী মাহফুজা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তার বাবা মোকছেদ আলি গাজি, মা আলেয়া পারভিন, বোন মারুফা খাতুন, চাচী লায়লা খাতুন, বোন মরিয়ম বেগম, চাচা লোকমান হাকিম, ভাগনে সালাহউদ্দিন ও মো. মহসিন আলি উপস্থিত ছিলেন।

শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম আটুলিয়া গ্রামের মোকছেদ আলি গাজির মেয়ে মাহফুজা বলেন তিনি আটুলিয়া এ কাদের কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এ কারণে কলেজে যাওয়া ছাড়াও প্রাইভেট পড়তে যেতে হয় তাকে। তিনি জানান যাতায়াতের পথে তার প্রতিবেশি বহু বিবাহের নায়ক আকবর আলি তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করলে অসভ্য ভাষায় গালাগাল করে। নোংরা কথা বলে। তাকে বারবার কু প্রস্তাব দেয়। মাহফুজা এসব প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় আকবর নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অভিযোগ করে তিনি বলেন গত ২২ এপ্রিল সকালে গোসল করতে যাবার পথে আকবর গাজি, নজরুল গাজি,আনিসুর গাজি, আনসার গাজি, শফিকুল গাজি, আনিছুর রহমান গাজি ও আতাউর রহমান মোটর সাইকেলে এসে তাকে জোর করে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় তার বোন মারুফা ও ভাবী আলেয়া ছুটে এলে অপহরণকারীরা তাকে বেপরোয়াভাবে মারপিট করতে থাকে। তার পরনের কাপড় চোপড়ও ছিঁড়ে ফেলে। তাদের হামলায় মাহফুজা ছাড়াও বোন মারুফা ও ভাবী আলেয়া আহত হন। পরে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আঘাতে মাহফুজা গুরুতর আহত হন।

মাহফুজা খাতুন আরও বলেন অপহরণকারীরা হুমকি দিয়ে বলেছে এ নিয়ে কোথাও জানাজানি করা হলে ফল ভালো হবে না। তাকে এবার পেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি জানান এ বিষয়ে তার বাবা শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা রেকর্ড করেনি। পরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে তারা দেখা করে অভিযোগ দেন। পুলিশ সুপার শ্যামনগর থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মাহফুজা বলেন ইটভাটার সরদার লম্পট আকবর আলির দুই বিয়ে। তার দুটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও সে তাকে উত্ত্যক্ত করছে বারবার। মাহফুজা অবিলম্বে তাকে ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)