আশাশুনিতে আদালতের নির্দেশ অমান্যের প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনিতে আদালত ও থানার নির্দেশ অমান্য করে পুকুর খননের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী অবস্থার সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত তফছির গাজীর ছেলে কবিরুজ্জামান এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কবিরুজ্জামান বলেন, তার ভাই শফিকুল আলম একই গ্রামের বাছের গাজীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের নিকট হতে ৬/৬/১৯৮৭ তারিখে ৩৭৮৯ নং কোবালা দলিলমূলে গাজীপুর মৌজায় ৭৯১ নং খতিয়ানে সাবেক ১০১৯ ও হাল ১৯৬৫ দাগে সাড়ে ১৯ শতক জমি ক্রয় করেন। বর্তমান মাঠ জরিপে তফশীল সম্পত্তির মধ্যে ১৮ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে। জমিতে তাদের পুকুর রয়েছে এবং তারা সেই থেকে মাছ চাষ কারবার করে জীবনজীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে ভোগদখলে আছেন।
একই গ্রামের নাছির গাজীর ছেলে কামরুল ইসলাম কামু, তার স্ত্রী শাহানারা, ভাই মনিরুল, মৃত করিম গাজীর ছেলে আবুল ফজর, মৃত ফজলু গাজীর ছেলে মজার, মৃত আনারুল গাজীর ছেলে মোল্লাএই জমি জবর দখলের নিমিত্তে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে পুকুর থেকে মাছ মেরে নেওয়া ও তাদেরকে মারপিট করেন।
বাধ্য হয়ে শফিকুল তাদের বিরুদ্ধে টিআর ১৪২/১৬, সিআর ২১০/১৫ (আশাঃ) মামলা করেন। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবারও তারা পুুকুর জবর দখলের চেষ্টা করলে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন। তখন তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮/৪/১৯ তাং ভোরে পুনরায় পুকুরে ঢুকে মাছ লুট করার চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে এক পর্যায়ে তারা খুন জখমের এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে মজা দেখানোর হুমকী ধামকী দিয়ে চলে যায়। বাধ্য হয়ে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সাতক্ষীরায় ১৪৫ ফৌঃ কাঃ বিঃ পি-৫৫৯/১৯ নাং মামলা রুজু করেন। বিজ্ঞ আদালত ওসি আশাশুনিকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার ও ২য় পক্ষকে কারণ দর্শানোর আদেশ প্রদান করেন। ওসি বিপ্লব কুমার নাথ আদালতের নির্দেশ পালনে ২য় পক্ষকে নেটিশ প্রদান করেন এবং ২০/৪/১৯ তাং দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই রাসেল ঘটনাস্থানে গিয়ে পুকুরে সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়ে আসেন। কিন্তু আইন আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল কামরুল ইসলাম কামু ও তার লোকজন ২২/৪/১৯ তাং পুনরায় পুকুরে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন।
১ম পক্ষ থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থানে গেলে তারা গা ঢাকা দেয়। পরদিন ২৩/৪/১৯ তাং পুনরায় তারা ২০/২৫ জন শ্রমিক নিয়ে পুকুরে মাটি কাটার কাজ করেন। বাধ্য হয়ে শফিকুল পুনরায় থানাকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আবেদন জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের প্রশ্ন আইন আদালত মানতে নারাজ কামরুল ইসলাম ও তার লোকজনের খুঁটির জোর কোথায়?
এ ব্যাপারে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আদালতের সহযোগিতা কামনা করেন।