আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই গ্রাম প্লাবিত
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে দুইটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক মৎস্যঘের। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে গ্রাম দুটির বেশকিছু ঘর-বাড়ি।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের পরিমল মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়ে একাকার হয়েছে শতাধিক মৎস্য ঘের। ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে পানিবন্দী বেশকিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি।
স্থানীয় পরিমল মন্ডলসহ আরও কয়েকজন জানান, ভোরে তার বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বেশ কিছুটা ধ্বসে নদীগর্ভে চলে যায়। এসময় প্রবল বেগে পানি ঢুকে ঘের অধ্যুষিত কোলা ও হিজলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পরেই ভাটা শুরু হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও দুপুরের জোয়ারে পানি ঢুকলে প্রতাপনগর ইউনিয়নের আরও কয়েকটি গ্রামসহ পার্শবর্তী শ্রীউলা ইউনিয়নও প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সকালে বাধ মেরামতের চেষ্টা করেও জোয়ার শুরু হওয়ায় ব্যর্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খোলপেটুয়া নদীর বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেও কাজ হয় না। বাঁধ না ভাঙলে তারা এলাকায় আসে না, কাজ হওয়া তো দূরের কথা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও (০১৩১৮২৩৫৬৯২) তিনি ফোন ধরেননি।