শ্রীলঙ্কার রক্তবন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে তিনটি গির্জা ও তিনটি পাঁচ-তারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০। এ ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৯০ জনের নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ। আহতের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স ও আল জাজিরার।
হামলার পর দেশটিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ জারি করা হয়। পাশাপাশি সোম ও মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া দেশটির সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিস্ফোরণের ধরন সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। কোনো গোষ্ঠী বা সংগঠন এই হামলার দায়িত্বও স্বীকার করেনি। কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি৷ তবে হামলাগুলোর লক্ষ্য ধর্মীয় উপাসনালয় ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলো বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় গনমাধ্যমগুলো৷ আপাত দৃষ্টিতে সবগুলো হামলাই সমন্বিত বলে ধারণা করছে পুলিশ৷
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এখন পর্যন্ত সব হামলাকারী সেদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তবে তাদের সঙ্গে বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা ১০ দিন আগে এ ধরনের উগ্রবাদী হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন বলে এএফপির খবরে দাবি করা হয়েছে, কিন্তু যে উগ্র গোষ্ঠীর কথা বলা হচ্ছে তাদের কোনো বক্তব্য আসেনি।
শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছয় শতাংশ মাত্র। ইস্টারের প্রার্থনার কারণে গির্জায় বেশ ভিড় ছিল, তাই এই নির্দিষ্ট সময়টাকেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে বলে মত কলম্বো পুলিশের।