শ্রীলংকায় নিহত বেড়ে ১৯০, দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ
শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোসহ অন্যান্য এলাকার চার্চ ও বিলাসবহুল হোটেলে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে বিদেশি নাগরিক রয়েছেন ৩৫ জন। এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ দুই বাংলাদেশি পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার দুপুরে ঢাকায় এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুই বাংলাদেশি নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুজন বাঙালি আন অ্যাকাউন্টেড। তাদের পরিবারের অন্যরা অ্যাকাউন্টেড। আমরা তাদের অবস্থা জানার চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি ট্রেস করা যাবে, আমরা তাদের পরিবারকে জানাব। তবে তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করেননি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ওই দুইজনের খোঁজে কলম্বোর হোটেল ও হাসপাতালগুলোতে খোঁজ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, চারজন বাংলাদেশির একটি দল কলম্বো গিয়েছিল টুরিস্ট হিসেবে। তাদের মধ্যে দুজন ঠিকঠাক থাকলেও একটি শিশুসহ দুজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রোববার সকালে ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে শ্রীলংকায় অন্তত তিনটি গির্জা এবং তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে একযোগে বোমা হামলা হয়।
এ ঘটনায় অন্তত ১৯০ জন নিহত এবং চার শতাধিক আহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলো। তাদের মধ্যে বিদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, বাংলাদেশিদের তথ্য পাওয়ার সুবিধার জন্য কলম্বোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোসাম্মত মাহমুদা বেগমকে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
মাহমুদা বেগম টেলিফোনে বলেন, ঘটনার পর থেকে শ্রীলংকায় অবস্থানরত সব বাংলাদেশির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
বাংলাদেশি কারো কোনো সহযোগিতা বা তথ্যের প্রয়োজন হলে +94712406313 নম্বরে ফোন করে মাহমুদার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার ব্রিফিংয়ে বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকায় এই হামলার ঘটনায় নিন্দা ও শোক জানিয়েছেন। তারা শ্রীলংকার মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
‘শ্রীলংকা একটি দীর্ঘ সময় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর শান্তি অর্জিত হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে আমরা শ্রীলংকার পাশে আছি, থাকব। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয় সেজন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।