বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কালিগঞ্জে সরকারি আবাসন প্রকল্পের ঘর
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকন্ঠপুর এলাকায় গৃহহীন সায়ত্রিশটি পরিবার বসবাস করছে জরাজীর্ণ সরকারি আবাসন প্রকল্পে ঘরে। এখানে তিনটি ব্রাকে ৬০টি পরিবার বসবাসের জন্য গত ১৬ বছর আগে বরাদ্দদেয় সরকার। কিন্তু বর্তমানে অতি জরাজীর্ণ অবস্থার ওই আবাসন প্রকল্পের ঘরে বসবাস করছে অনেক পরিবার।
নানা প্রকার সমস্যা নিয়ে গৃহহীন অসহায় পরিবার গুলো বসবাস করছে নীলকন্ঠপুর আবাসন প্রকল্পে। আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত আনোয়ারা,শহিদুল,শফিকুল ও নাজমুলসহ অনেকে জানান, দীর্ঘদিন আবাসন প্রকল্পের ঘর গুলি সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ঘরের চালের টিন গুলো নষ্ট হয়ে বড় বড় ছিদ্র হয়েগেছে।
যার কারণে একটু বৃষ্টি হলে পানিতে ভরে যায় ঘরের ভিতরে। তাছাড়া টিনের বেড়া গুলি প্রায় নষ্টের পথে। সুপেয় খাবার পানিরও ব্যবস্থা নেই তাদের জন্য।স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের অভাবে বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে ভুগছেন তারা। সেখানে তাদের বাচ্চাদের লেখা পড়ার জন্য আহছানিয়া মিশন একটি স্কুল চালু করলেও সেটি দুই বছর বন্ধ হয়ে গেছে।
এমনই অনেক সমস্যা নিয়ে তারা বসবাস করছেন বলে জানালেন। কিন্তু সরকারি ভাবে কোন উদ্যোগ নেই আবাসন ঘর গুলির সংস্কার করার। আবাসন প্রকল্পের বসবাসরত হতদরিদ্রদেরও মেরামত করার টাকা নেই। এজন্য অনেক সমস্যা নিয়েও তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ওই ঘরে বসবাস করছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন,ঘর সংস্কার, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও সুপেয় পানির প্রয়োজন ওই আবাসন কেন্দ্রে।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে গত তিন মাস আগে। কিন্তু আজও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি বলে জানান।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন নীলকন্ঠপুর আবাসন প্রকল্পের জন্য সরকারি ভাবে বর্তমান কোন বরাদ্দ নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি লিখিতভাবে বরাদ্দ চেয়েছেন আবাসন ঘর গুলি সংস্কারের ব্যবস্থা,সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও সেখানে বসবাসরত মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য।