ঐতিহ্যবাহী গোপাল চাঁদ বারুণী মেলা শুরু : লাখো ভক্তের পদচারনায় মুখরিত
দক্ষিণ-পশ্
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৮তম আর্বিভাব স্মরণোৎসব উপলক্ষে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীখালী শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে মতুয়া মেলা শুরু হয়েছে। বাংলা ১৩২৮ সাল থেকে মোরেলগঞ্জের লক্ষীখালী গ্রামে গোপাল সাধুর লীলাধামে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যা এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলা নামেও পরিচিত। সেই ধারাবাহিকতায় শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৮তম জন্ম স্মরণে এবারের বারুণী স্নান ও মহামেলার আয়োজন করা হয়।
এ মেলা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ভক্তরা এখানে আসেন বারুণী স্নানের মাধ্যমে নিজেকে নিষ্পাপ করতে। দূর-দূরান্ত থেকে সাধুদের এক একটি দল ডঙ্কা, ঢাক, ঢোল, ঝাঁক, কাঁশর, চাকি, বাঁশি, শঙ্খ, শিঙ্গা, এক তারা, দোতরাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র এবং নিশান নিয়ে হরিনামের মাতম তুলে সাধু বাড়িতে পৌঁছে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করছে। মেলায় নানা পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
হিন্দুদের মতে, হরিনামের মহিমা প্রচার ও নানা অলৌকিক জ্ঞান নিয়ে ইহকাল ও পরলৌকিক বিশ্বাস করে আতœার শান্তি ও মুক্তির জন্য পাপ বিনাশের অভিপ্রায় ধরাধামে যুগে যুগে বহু মহামানবের আগমন ঘটেছে। শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ ঠাকুর ওরফে গোপাল সাধু তাদেরই মধ্যে একজন।
এবারের মেলায় যোগ দিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার কঙ্কজ চন্দ্র রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, শ্রীধাম ওরাকান্দি মতুয়া চার্য সুব্রত সাধু ঠাকুর, মোরেলগঞ্জ থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাস মন্ডল সহ রাজনৈতিক সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এ মেলায় সমবেত হয়। মঙ্গলবার স্লান উপলক্ষে তার আগেরদিন থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মতুয়া ভক্ত নারী পুরুষ ডাংকা, কাশ নিশান উড়িয়ে হরিনামে মাতোয়া হয়ে গোপালচাঁদ তৃর্থস্থানে কামনা সাগরে পুর্ন স্লান করে ভক্তের মনের বাসনা করে বলে বর্তমান গদিনশিন মতুয়া চার্য সাগর সাধু ঠাকুর জানান।
গোপাল সাধুর এ ধামে এ পর্যন্ত ৪ পুরুষ গত হয়েছেন। বর্তমান গদিনশীন তরুণ সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর বলেন, শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৮তম জন্ম স্মরণে বাংলা ১৩২৮ সাল থেকে এখানে মতুয়া ভক্তদের সমাগম ঘটছে যা এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলা নামে পরিচিত।
প্রায়াত গোপাল সাধুর বসতবাড়িসহ ২৪ বিঘার বাগানবাড়িতে বসবে এ মেলা। দিঘীতে ¯œান করবে ভক্তরা। মেলা ও স্নান নিয়ন্ত্রনের জন্য থানা পুলিশ, আনছার ভিডিপি ও স্থানীয় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর বাংলা ১২১৮ সালে বৈশাখী পূর্ণিমায় সোমবার গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে জন্ম গ্রহন করেন। ধর্মীয় মতাদর্শে হরিচাঁদ ঠাকুর ওড়াকান্দি থেকে বঙ্গভারত উপমহাদেশে শোসন, নিস্পেশন বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অঞ্চলে ভক্ত অনুসারী তৈরী হয় তার। যারা এখন মতুয়া সমম্প্রদায় নামে পরিচিত।
মতুয়া ভক্তরা প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা পূর্ণিমার ত্রয়োদশী তিথিতে ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মোৎসব পালন করেন। যা এখন বারুণী স্নান ও মহামেলা নামে পরিচিত। ওড়াকান্দি মেলার ১৫দিন পরে ঠাকুরের দোয়ালীয়া বাড়ি গোপাল চাঁদের লীলা নিকেতন মোরেলগঞ্জের লক্ষীখালীতে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বারুণী স্নান।
গোপাল সাধুর এ মেলা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে জমায়েত হন। এদিকে শ্রী শ্রী গোপালচাদ সাধু ঠাকুরের বারুনী স্লান উপলক্ষে মেলায় আগত মতুয়া ভক্তবৃন্দ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডাংকা কাস, নিশান সহকারে যাত্রীপথে শত শত মতুয়া ভক্তের নারী পুরুষের দল সমবেত হয় মোরেলগঞ্জ শ্রী শ্রী হরিগুরুচাদ মন্দিরে। সেখানে ভক্তদের হরিনামে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গন। ভক্তদের যেনো এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। আগত ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয় প্রসাদ।
জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা জানান, আমার পূর্বপুরুষ থেকে এ মেলার ভক্ত। তাই মেলা চলাকালীন তিন দিন আগত ভক্তদের খাবারের জন্য যে চাল প্রয়োজন সেটা আমি দিয়ে যাচ্ছি বিগত কয়েক বছর যাবৎ।গোপাল সাধুর এ ধামে এ পর্যন্ত ৪ পুরুষ গত হয়েছেন। বর্তমান গদিনশীন তরুণ সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর বলেন, শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৮তম জন্ম স্মরণে বাংলা ১৩২৮ সাল থেকে এখানে মতুয়া ভক্তদের সমাগম ঘটছে যা এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলা নামে পরিচিত।
প্রায়াত গোপাল সাধুর বসতবাড়িসহ ২৪ বিঘার বাগানবাড়িতে বসবে এ মেলা। দিঘীতে ¯œান করবে ভক্তরা। মেলা ও স্নান নিয়ন্ত্রনের জন্য থানা পুলিশ, আনছার ভিডিপি ও স্থানীয় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর বাংলা ১২১৮ সালে বৈশাখী পূর্ণিমায় সোমবার গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে জন্ম গ্রহন করেন। ধর্মীয় মতাদর্শে হরিচাঁদ ঠাকুর ওড়াকান্দি থেকে বঙ্গভারত উপমহাদেশে শোসন, নিস্পেশন বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অঞ্চলে ভক্ত অনুসারী তৈরী হয় তার। যারা এখন মতুয়া সমম্প্রদায় নামে পরিচিত।
মতুয়া ভক্তরা প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা পূর্ণিমার ত্রয়োদশী তিথিতে ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মোৎসব পালন করেন। যা এখন বারুণী স্নান ও মহামেলা নামে পরিচিত। ওড়াকান্দি মেলার ১৫দিন পরে ঠাকুরের দোয়ালীয়া বাড়ি গোপাল চাঁদের লীলা নিকেতন মোরেলগঞ্জের লক্ষীখালীতে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বারুণী স্নান।
গোপাল সাধুর এ মেলা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে জমায়েত হন।
এদিকে শ্রী শ্রী গোপালচাদ সাধু ঠাকুরের বারুনী ¯œান উপলক্ষে মেলায় আগত মতুয়া ভক্তবৃন্দ (১৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডাংকা কাস, নিশান সহকারে যাত্রীপথে শত শত মতুয়া ভক্তের নারী পুরুষের দল সমবেত হয় মোরেলগঞ্জ শ্রী শ্রী হরিগুরুচাদ মন্দিরে। সেখানে ভক্তদের হরিনামে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গন। ভক্তদের যেনো এক মিলন মেলা। আগত ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয় প্রসাদ। এসময় ভক্তদেরকে বরন করে নেয় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। মতুয়া চার্য রবিন্দ্রনাথ হালদার, সুবদেব হালদার, প্রভাষক সুষেন কুমার ঢালী, উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, রতন কুমার সমাদ্দার ও মন্দিরের পুরোহিত মাষ্টার পংকজ চন্দ্র হালদার।
মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এই মেলা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থাকছে টহল পুলিশসহ তিন দিনের স্থায়ী ক্যাম্প।