ফায়ারম্যান সোহেলকে শ্রদ্ধা জানালেন মাশরাফি
সম্প্রতি বনানীর এস আর টাওয়ারে ঘটে গিয়েছে এক নারকীয় অগ্নিকান্ড৷ এই অগ্নিকান্ডেও ক্ষয়ক্ষতি রুখার ক্ষেত্রে ও শত শত মানুষের জীবন রক্ষায় অভাবনীয় সাহস দেখান ফায়ারম্যান সোহেল রানা।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই আগুনের ভয়াল ছোবল লাগে তার গায়েও। এরপর সিঙ্গাপুরে নিয়েও বাঁচানো যায়নি এই সুপার ম্যানকে। কল্পকাহিনী, মুভির সুপার হিরোদের নিয়ে আমরা সবসময়ই আলোচনা করলেও আড়ালে থেকে যান বাস্তব জগতের এইসব মহানায়কেরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শোনান এমনই এক সুপার হিরোর গল্প, যার সামনে ফিকে পড়ে যায় সাইন্সফিকশন বা সিনেমার সুপার হিরোরা।
ফায়ার সার্ভিসের একটি নিয়ম হচ্ছে, ‘ আগে নিজে বাঁচো, পরে অন্যকে বাঁচাও। ‘ কিন্তু সুপার হিরো সোহেল রানা সেদিন সে পথে হাঁটেননি। আর হাঁটেননি বলেই তিনি ব্যতিক্রম। মহানায়ক।
সোহেল রানার ছবি সংবলিত ঐ পোস্টে মাশরাফি লিখেন, “আমরা প্রতিনিয়ত গল্পের সুপারহিরোদের নিয়ে কথা বলি, তাদের নিয়ে জমে উঠে আমাদের চায়ের আড্ডা। স্পাইডার ম্যান, সুপারম্যান এরা আমাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করে। কিন্তু আমাদের আশেপাশে এমন কত যে সুপারহিরো আছে আমরা জানিও না। তাদের নিয়ে জমে উঠে না আমাদের চায়ের আড্ডা। আমরা স্মরণ করি না তাদের ত্যাগের কথা।
আজ এমনি একজন সুপারম্যানের কথা বলব। এই সুপারম্যানের নাম হচ্ছে সোহেল রানা। তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের একজন ফায়ারম্যান ছিলেন। গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন। মরনের ভয় না করে উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন এফ আর বিল্ডিংয়ে আটকে পরা মানুষদের। কিন্তু উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে চিকিৎসার জন্য সিজ্ঞাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৭ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। আমরা গভীরভাবে স্মরণ করছি সোহেল রানার মত সকল সুপারম্যানদের।”