গ্রামীণফোনের কাছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পায় সরকার
দেশের শীর্ষ মোবাইলফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনকে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি বকেয়া টাকা পরিশোধের নোটিশ দিয়েছে সরকার। তবে এর মধ্যে ৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে পাওনা রয়েছে। বাদবাকী টাকা পরিশোধ করতে হবে গ্রামীণফোনকে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রামীণফোনের কাছে মোট টাকার মধ্যে ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বিটিআরসির। এছাড়া ৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে।
বকেয়া টাকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের কথা জানিয়ে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গ্রামীণফোনকে দেয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের এমন পদক্ষেপের পর গ্রমীণফোন জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করা হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানিটি জানায়, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বিটিআরসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং হিসাবনিরক্ষকদের পুরোপুরি সহযোগিতা করা সত্ত্বেও (সরকারের পক্ষ থেকে) এমন দাবি করা হলো।
এতে আরো জানানো হয়, অডিটের সময় কিছু ভুলের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। তারপরও কোম্পানীর পক্ষ থেকে কথাগুলো শোনা হয়নি। আর্থিক স্বচ্ছতা ও সংশ্লিষ্ট দেশের আইনের প্রতি গুরুত্ব দেয় গ্রামীণফোন।
এদিকে ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত অডিট করা হয়। সে হিসেবে গত বছর সরকার মোবাইলফোন কোম্পানিটির কাছে ১১ হাজার ৫৩০ কোটি ১৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
বিটিআরসি, গ্রামীণফোনে শেষ অডিট করেছিলো ২০১১ সালে। সে সময় ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা দাবি করা হয়। তখন গ্রামীণফোন অডিট সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলো। ২০১৫ সালের অক্টোবরে তোহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি গ্রামীণফোনের শুরু থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত লেনদেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখার কাজ করে।
গ্রামীণফোনে ৫৫.৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে নরওয়েজীয় প্রতিষ্ঠান টেলিনরের। গ্রামীণ টেলিকম কর্পোরেশনের রয়েছে ৩৪.২ শতাংশ শেয়ার। বাকি ১০ শতাংশ শেয়ার বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে।