কলারোয়ার হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা আশ্রমের ৪দিনের অনুষ্ঠান শেষ
ভজন কীর্তন, ধর্মীয় যাত্রাপালার মধ্য ৪দিনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের পরিসমাপ্তি হলো সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছির শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা আশ্রমের ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার কেঁড়াগাছীর শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পঞ্চম দোলযাত্রার শেষ দিনে সকাল থেকে ভারতের প্রখ্যাত দুই অধ্যাপক ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন। বিকেলে পরিবেশিত হয় ধর্মীয় যাত্রাপালা, শ্রীকৃষ্ণের গুরুদক্ষিণা।
ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক শিবুপ্রসাদ পালের সঞ্চালনা আর ব্যাখ্যায় ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন ভারতের ডিডি বাংলা, রুপুশী বাংলা, আকাশবানীর নিয়মিত ভজন কীর্তন পরিবেশক অধ্যাপিকা মানসি ঘোষ দোস্তিদার ও মানসী ঘোষ দস্তিদার এর একমাত্র পুত্র সপ্তর্ষি ঘোষ দস্তিদার ।
এর আগে কীর্তন পরিবেশন করেন বেতার ও দূরদর্শনখ্যাত ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. শান্তা দাশ
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা সোনাই নদীর তীরে আন্তর্জাতিক মানের এই আশ্রমের অনুষ্ঠান স্থলে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগমের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠান স্থলে যান নব নির্বাচিত কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ( লাল্টু,) পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধেশ্বরী চক্রবর্তী।
আশ্রম কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হরিদাস ঠাকুর ভক্তদের স্বাগত জানান।
ভারতের প্রখ্যাত ভজন কীর্তন পরিবেশক অধ্যাপিকা মানসী ঘোষ দস্তিদার জানান এই আশ্রম সকল হিন্দু ধর্মীয় মানুষের কাছে একটা তীর্থ স্থান। এই আশ্রম ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে, ভারত থেকে ভক্ত আসতে পারলে আরো ভালো হতো।
তিনি আরো বলেন আমি নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটায় গত বছর ও এসেছি আর এবারো এসেছি আমার পরিবার কে নিয়ে তাদের ভালোবাসার টানে আসতে পেরে জীবনকে ধন্য মনে করছি।
আশ্রমে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ৬ বিঘা জমির উপরে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। ৪ দিনব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাওয়া, বিশুদ্ধ পানীয়জল প্রতিদিন সকল ভক্তদের জন্য সারাদিন খাবার ব্যাবস্থা ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, বিজিবি ও আনছার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়ন ছিলো।