মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯, চলছে উদ্ধার অভিযান
রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৭০ জন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। এফ আর টাওয়ারের সামনেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে টানানো হয়েছে একটি বোর্ড। সেখানে আহত এবং নিহত ব্যক্তিদের হিসাব রাখা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেয়া হয় ৪ জনকে। এর মধ্যে ২ জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেয়া হয় ৪২ জনকে, এর মধ্যে এক শ্রীলংকার নাগরিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেয়া হয় ৫ জনকে। এর মধ্যে মৃত ঘোষণা করা হয় ৩ জনকে।
এছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনজনকে নেয়া হয়। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তি মারা যান।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ পুড়ে যায়। এছাড়া আবু হোসেন ও রেজাউল আহমেদ নামে দুইজনকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদের তিনজনই পুরুষ। এরা হলেন, মনির (৫০), মামুন (৩৬) ও মাকসুদুর রহমান (৩২)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক শ্রীলংকার নাগরিককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শ্রীলঙ্কার যে ব্যক্তি মারা যায় তার নাম নিরেশ ভিগ্নে রাজা(৩৫) । ভবনটির ১০ তলায় স্ক্যানয়েল লজিস্টিকস বাংলাদেশ নামে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট অফিসে চাকরি করতেন তিনি। নিরেশ আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ে মারা যান বলে জানা গেছে।
এর আগে এদিন পৌনে বেলা ১টার দিকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ে ২২ তলা ভবনটির ৯ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।