তৃতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট শুরু
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচনি সামগ্রী নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার আগের দিনই নিজ নিজ কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনি উপজেলাগুলোতে চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, প্রথমে ১২৭ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। চারটি উপজেলায় ভোট পিছিয়েছে। এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের লোহাগড়া ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে। আর নরসিংদী সদর ও কক্সবাজার সদরের নির্বাচন ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোটে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ছয় উপজেলার সবগুলো পদে প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় রোববার ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১১৭ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৪০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই ধাপে নির্বাচনে ৯ হাজার ২৯৮টি ভোট কেন্দ্রে ১ কোটি ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
সচিব জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপে ২৪ উপজেলায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন। আর ভোটের এলাকায় টহল দিচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ভ্রাম্যমাণ টিম। সব মিলে বিভিন্ন বাহিনীর লক্ষাধিক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ইভিএমে ভোট নেয়ার জন্য প্রতি কেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর দু’জন করে নিরস্ত্র সদস্যও নিয়োজিত রয়েছেন। প্রয়োজনে তারা সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের সহায়তা নিতে পারবেন।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে সম্পন্ন করছে ইসি। ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপ এবং ১৮ জুন পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।