শুভ জন্মদিন তামিম ইকবাল
দেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ১৯৮৯ সালের আজকের এই দিনে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আর আজ তার ৩০তম জন্মদিন। দেশ সেরা এই ওপেনারে জন্মদিনে দৈনিক সাতক্ষীরা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন তামিম ইকবাল।
এদিকে, বিশেষ এই দিনে ভক্তদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। শুভেচ্ছা বার্তায় ক্রাইস্টচার্চে হামলার ট্রমা থেকে দ্রুত বের হয়ে আসার প্রত্যাশা পাচ্ছেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।
তামিম ইকবালই টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি এই তিন ফরমেটে বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান। কেননা এই তিন ফরমেটেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান তার।
তাই পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড ধরলে নিঃসন্দেহেই দেশের এক নাম্বার ব্যাটসম্যান এর তখমা তামিম ইকবালেরই। তার সাহস, আস্থা, আত্মবিশ্বাস ও পারফরম্যান্সই এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে গেছে এক অন্য উচ্চতায়। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা ও রান করার কারণে তামিম হয়ে উঠেছেন টাইগার শিবিরের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার প্রতীক।
১৯৮৯ সালের ২০ মার্চ চট্টগ্রামের কাজীর দেওরিতে বিখ্যাত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তামিম ইকবাল। বাবা ইকবাল খান ছিলেন একজন ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়ানুরাগী ও ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ। একই সঙ্গে খেলেছেন ফুটবল ও ক্রিকেট। সত্তর দশকে ঢাকার ফুটবলের সূর্য যখন মধ্যগগণে, তখন ইকবাল খান ছিলেন নামী ফুটবলারদের একজন।
ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম মোহামেডানের অধিনায়ক ইকবাল খান ফুটবলের পাশাপাশি খেলেছেন ক্রিকেটও। চট্টগ্রাম লিগে ছিলো তার সেঞ্চুরি।
এছাড়া, তামিম ইকবালের চাচা আকরাম খান ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার হাত ধরেই ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে উড়েছিল ক্রিকেটে জয়ের কেতন। বড় ভাই নাফিস ইকবালও ছিলেন জাতীয় দলের স্টাইলিশ ওপেনার, টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানও। স্বভাবতই ক্রিকেটটা তামিমের রক্তে, অস্থি ও মজ্জায়।
ড্যাশিং এই ওপেনারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অঙ্গনে অভিষেক হয় ২০০৭ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। জাতীয় দলের একাদশে অবিচ্ছেদ্য এক অংশই হয়ে গেছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত তিন ফরমেটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। খেলেছেন ৫৮টি টেস্ট, ১৮৯ ওয়ানডে আর ৭৫টি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরমেটেই সেঞ্চুরি আছে তার। মোট সেঞ্চুরি ২১টি।