কালিগঞ্জে মাহফিলে প্রধান বক্তা অবরুদ্ধ
কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর কিষাণ মজদুর ইউনাইটেড একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান বক্তা ভারত থেকে আগত সৈয়দ আরিফ বিল্লাহ রব্বানীকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ মার্চ রাতে। স্থানীয়রা জানান,কৃষ্ণনগর জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার রাত ব্যাপী ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন। কিন্তু ওই মাহফিলে প্রধান বক্তা ফুরফুরা শরিফ হতে আগত হুজুর পীর কেবলার জামাতা সৈয়দ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী ওয়াজ করবেন বলে এলাকায় প্রচার করা হয়। ওই মাহফিলে প্রধান বক্তা মহানবী (সাঃ) এর জন্মদিনে নারী বাদে যে সব পুরুষ জুলুস উৎসব পালন করেনা তাদেরকে কাফের বলে ঘোষণা করেন।তার বক্তব্য শুনে মাহফিলে আগত অধিকাংশ মুসল্লি স্থান ত্যাগ করেন ও তার বক্তব্যর প্রতিবাদ করেন।এসময় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী জানতে পারে প্রধান বক্তার পরিচয়। ওই বক্তার বাড়ি বাংলাদেশে। এরপর ১৫ (মার্চ) শুক্রবার জুম’আর নামাযের পর কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের মুসল্লিরা বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেন আরিফ বিল্লার বিরুদ্ধে। এসময় ওই বক্তা মুসল্লিদের তোপের মুখে পড়ে জনৈক শেখ আ. বারীর বাড়িতে অবস্থান করেন। তারপরও মুসল্লিরা তাকে ওই বাড়িতে প্রায় আড়াই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে উত্তেজিত মুসল্লিদের শান্ত করে জনতার সম্মুখে আরিফ বিল্লাহ রব্বানীকে হাজির করে। এসময় উপস্থিত জনসম্মুখে তিনি ভ্রান্তকর বক্তব্য দেওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।পরবর্তীতে প্রশাসনের সহায়তায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। তবে আরিফ বিল্লাহ আসামের বদরপুর খানকা শরীফের পীর নয় এবং ফুরফুরা দরবার শরিফের কেউ নয় একথা স্বীকার করেন।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রাজীব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মাহফিলের প্রধানবক্তা ফুরফুরা শরিফ ও জুলুস নিয়ে কথা বলায় স্থানীয় মুসল্লিদের তোপের মুখে পড়ে সৈয়দ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী। পরবর্তীতে পুলিশ যেয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান।