কালিগঞ্জে নারীকে পেটালেন ছুটিতে থাকা পুলিশের এএসআই মাহবুব
ছুটিতে বাড়ী এসে জমিজায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে খুলনা শরণখোলা হাইওয়ে পুলিশের এএসআই মাহবুবের বিরুদ্ধে।
সে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজুয়াগড় এলাকার ওজিদ গাজীর ছেলে। পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শকের(এএসআই) হাতে আহত নারী হলেন বাজুয়াগড় গ্রামের আব্দুল হক গাজীর স্ত্রী মাছুমা বেগম (৪২)।
স্থানীয়রা জানান,মাহবুব ও মাছুমাদের মধ্যে ১৪ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মাছুমার সাথে ওই পুলিশ অফিসারের মায়ের সাথে বাকবিতন্ডতা হয়।
এসময় ছুটিতে বাড়ী থাকা মাহবুব হোসেন ঘটনাস্থলে মাছুমাকে বেধড়ক মারপিট করে পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়েই হাসপাতাল থেকে অসুস্থ অবস্থায় শনিবার দুপুরে মাছুমাকে বেড় করে দেন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার তৈমুর রহমান। আহত মাছুমার দেবর আব্দুল অহেদ গাজী জানান,তার ভাবীকে হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে বের করে দিয়েছে তৈমুর রহমান।
পুলিশ অফিসারের বোন মারুফা ওই হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে কর্মরত আছেন এজন্য তার ভাবীকে চিকিৎসা নাদিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মাহবুব পুলিশ অফিসার হওয়ায় থানা থেকে বার বার মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে এখন উভয় সংকটে আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।বর্তমানে হাসপাতালে ঠায় না পেয়ে নিজের বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছে পুলিশের হাতে আহত ওই নারী। তাছাড়া কালিগঞ্জ থানাতে মাহবুবের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলে জানান।
বিষয়টি সর্ম্পকে খুলনা শরণখোলা হাইওয়ে পুলিশের সহকারী-উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় একটু ঝামেলা হয়েছিল। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ কেন্দ্র করে তিনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মাছুমাদের বিরুদ্ধে। এজন্য কালিগঞ্জ থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক সোহেল হোসেন ঘটনাস্থল গিয়ে ছিলেন।
এছাড়া তিনি মাছুমাকে মারধর এর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তার পায়ে জমির সীমানার পিলিয়ার পড়েছিল এজন্য সে আহত হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈমুর রহমান বলেন,মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে মারুফা গতকাল শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তবে তার শরীলে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া শনিবার সকালে মারুফার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে রিলিজ চান এজন্য তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক সোহেল হোসেন বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলেন। তবে তারা নিজেরা আপোষ হয়ে গেছে বলে দ’পুক্ষ তাকে জানিয়েছে বলে তিনি জানান।