কালিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ
কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানী থেকে রেহাই পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খলিলুর রহমান নামের এক হতদরিদ্র দিনমজুর। তিনি একই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মৃত তরফাতুল্লা এর ছেলে । বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খলিলুর রহমান এলাকার একজন রোগগ্রস্ত অসহায় হতদরিদ্র গরিব মানুষ। তিনি পেশায় দিন মজুর। কিন্তু তিনি ভারী কাজ করতে পারেন না। ২০১৩ সালে কঠিন হার্ডের রোগ দেখা দিলে এলাকার মানুষদের সাহায্য নিয়ে তিনি অপারেশন করেন। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই খাদ্য নালীর নাড়ি পেচিয়ে মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দিলে আবারও অপারেশন করে কোন রকমে বেঁচে আছেন। তার সংসারে রোজগার করার মত কেউ নাই। তাছাড়া তার স্ত্রীও প্রায় ৪ বছর বুকের কঠিন রোগে ভুগছেন। বর্তমানে এই পরিবারটি অসহায় দিনাতিপাত করছে। তাদের ঔষধ ক্রয় করার ও সক্ষমতা নেই। একটি মাত্র ছেলে লেখাপড়ার পাশাপাশি ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে। তার সম্মান্য রোজগারের টাকায় সংসার ও তাদের চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে কষ্টের জীবন যাপন করে চলেছে। এমনকি তার বসতভিটা ছাড়া কোন জায়গা জমি নেই। এমত অবস্থায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের কাছে সরকারের বিভিন্ন অনুদানসহ সাহায্যের আবেদন করলে হবে হবে বলে সময় পার করেন। সম্প্রতি অসহায় হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের ভিজিডি কার্ডে ৩০ কেজি চাউল দেবে বলে তার কাছ থেকে আইডি কার্ড ও ছবি নেন চেয়ারম্যান। সেই অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে যায় সে। কিন্তু সেখানে গেলে তার নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে সময় বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে সুধুই অপেক্ষা করতে বলে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও কার্ডসহ চাউল না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান। সরকারের বিভিন্ন সাহায্য থেকে বঞ্চিত করে হয়রানি করায় চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন জানান খলিলুর রহমান। এদিকে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য সরকার যথাযথ দান অনুদান দিচ্ছেন। তিনি কেনো অনুদান পেলেন না এটা আমি দেখবো। ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের নিকট মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমার ইউনিয়নে ৩১ হাজার ভোটার, কার্ড পেয়েছি ৩ শ ৪৭ টি, এখন আমি কি করবো। সকলেই তো পাবেনা, আর আমি দিতেও পারবো না।