ভারতের বিমান হামলায় ইসরাইলি মারণাস্ত্র ব্যবহার
কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানকে সমুচিত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল ভারত। অপরদিকে ইসলামাবাদ আক্রান্ত হলে নয়া দিল্লিকেও দেখে নেয়ার পাল্টা হুমকি দিয়েছিল ইসলামাবাদ।
এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে ভারতের পক্ষ থেকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের কথা বলা হয়। হামলায় ৩০০ ‘জঙ্গি’ প্রাণ হারায়। পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের বিমানবাহিনীর হামলায় ব্যবহার করা হয় ইসরাইলি মারণাস্ত্র। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, পাঁচটি যুদ্ধবিমান দিয়ে এ হামলা করা হয়। তারা এ সময় আরো জানায়, মিরাজ-২০০০ নামের বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করে। এর একেকটির ওজন ছিলো ১ হাজার কেজি।
প্রধানত বোমারু বিমান হিসেবেই কাজ করে মিরাজ-২০০০। এটিতে রয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী রাডার। যার ফলে সহজেই লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। ডপলার বিমিং প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটিতে থাকা যে কোন বস্তুর নিখুঁত মানচিত্র একে ফেলতে সক্ষম।
শত্রুপক্ষের বিমানকে মাঝ আকাশে ধবংস করতে এতে রয়েছে ‘অটো ক্যানন’ বা কামান। পাশাপাশি রকেট থেকে শুরু করে লেজার গাইডেড বম্ব বহন করতে পারে বিমানটি। এই জেটের চালকের হেলমেটের মধ্যেই থাকে ডিসপ্লে। যার ফলে সুপারইমপোজড রাডার ডেটা দেখতে পারেন তিনি। ককপিটে ডিসপ্লে থাকার প্রয়োজন হয় না।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ইসরাইলের অস্ত্র সরবরাহ করার ইতিহাস বেশ পুরনো। ধারণা করা হয়, প্রতি বছর এই দুই দেশের ভেতর এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র লেনদেন হয়। বিগত দুই বছরে এই দুইটি দেশের মধ্যে অনেকগুলো জয়েন্ট ড্রিল হয়েছে।