খানপুরে ঘেরে কীটনাশক ও ধান গাছে আগাছানাশক প্রয়োগ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের কৃষক আশানুর রহমান আশার দেড় বিঘা জমির ধান আগাছানাশক ছিটিয়ে নষ্ট ও বাবলু রহমান নামে এক মৎস্য চাষীর ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে গেলে ভুক্তভোগী আশা ও বাবলু রহমান বলেন, খানপুর গ্রামের চিহ্নিত ভূমিদস্যু আকের আলীর সাথে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো বহুদিনধরে। তারই সূত্রধরে শুক্রবার রাতে আকের আলী, তার ছেলে খোকন হোসেন, মিলন হোসেন, রিপন হোসেন ও একই এলাকার মৃত্যু অহেদ আলীর ছেলে আক্তারুল ইসলাম আগাছানাশক দিয়ে ধান ও কীটনাশক দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তাদের। এতেকরে তাদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানান তারা। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা। এসময় তারাসহ অত্র এলাকার মাসুদ হোসেন, ফারুক হোসেন, মারুফ হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ভূমিদস্যু আকের আলী ও তার ছেলেদের অত্যাচারে তারা সহ অত্র এলাকার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। জোর পূর্বক অন্যের জমি দখল, ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে গরীব-অসহায় মানুষের জমি দখলের চেষ্টা, জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মারা, সেচের মটর চুরি ও আগাছানাশক দিয়ে ধান গাছ মেরে ফেলা যেন তার নিত্যদিনের নেশা। দিনের পর দিন চলতে থাকা তার এসব কর্মকান্ডে এলাকাবাসী এখন বড়ই ক্ষুব্ধ। স্থানীয়রা জানান, আকের আলীর সাথে যার বিরোধ বাধেঁ তার কোননা কোনদিক থেকে ক্ষতি হবে। ইন্ডিয়া থেকে উড়ে আসা আকের আলী অন্যের জমিতে চাল দিয়ে বাস করে সেই জমি দখলকরে আজ কোটিপতি। তার সাথে বিরোধ করে সর্বস্বান্ত হয়েছে আলিপুর সোলাইমান, কামারবাড়ির বিষ্টু সহ অসংখ্য মানুষ। সোলাইমানের জমি দখল করে সেই জমিতে ঘের তৈরি ও গভীর খনন করে মাটি ও বালি বিক্রয় করে এখন সে কোটিপতি। শুধু এতেই শেষ নয় এই ভূমিদস্যুর নজর থেকে রেহাই পাচ্ছেনা তার জমির পাশের ধানচাষীদের সেচ মোটর ও মেশিন। গত ১বছরে শুধু তার সাথে শত্রুতার কারণে রবিউল ইসলামে রবির প্রায় ১০টি সেচ মটর ও গোলাম বারির একটি সেচ ৩ইঞ্চি মেশিন চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আকের আলী ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে। শুধু এতেই শেষ নয়! জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্রকরে জোরপূর্বক জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে খানপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম রবির ১টি ঘের, বাবলু রহমানের ২টি ঘের, মাসুদদের ৩টি ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে বহুবার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগে একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরী রয়েছে আকের বাহিনীর বিরুদ্ধে।

তবে একাধিক মামলা থাকলেও টাকা দিয়ে বিচার কিনে নেওয়া তার (আকের আলী) নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর একারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। একারণে ভুক্তভোগী পরিবার সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধান গাছ ও মৎস্য ঘেরে কীটনাশক প্রয়োগ করা সম্পর্কিত বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। পেলে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)