আশাশুনি ভাঙ্গাবিলের জমি উদ্ধার ও সংগ্রাম কমিটির সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি ভাঙ্গা বিলের বি ত জমির মালিকরা তাদের জমি ফেরত বা হারির টাকা আদায়ের মাধ্যমে অধিকার ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার বেলা ১১.৩০ টায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আশাশুনি ভাঙ্গাবিল জমি উদ্ধার ও সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক ডাঃ অরুণ কুমার বিশ্বাস লিখিত বক্তব্য পাঠ ও তিনিসহ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, ১৯৯৫ সালে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বলাবাড়িয়া পাউবো বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ভাঙ্গনের পর ১৯৯৮ সালে প্রায় ১০০০ বিঘা জমি বাইরে রেখে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তখন থেকে খুলনা সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্প নামে একটি সংস্থা জমির মালিকদের সাথে শর্ত সাপেক্ষে ভাঙ্গন আটকিয়ে মৎস্যঘের করে।
সে সময় তারা কমবেশী হারির টাকা পেতেন। ২০১২ সালে প্রকল্পের মালিকরা ঘের ছেড়ে চলেগেলে একটি অংশ কতিপয় ব্যক্তি অপরিকল্পিতভাবে দখলে নিয়ে খন্ড খন্ড বাঁধ দিয়ে মৎস্য ঘের করে আসছেন। যা গণঘের নামে পরিচিত। অন্য অংশ সামিয়া ফিস নামে একটি সংস্থা ঘের করে। ২০১৭ সালে ওই ঘের মালিকরা ঘের না করায় আরও কতিপয় ব্যক্তি জমির বড় অংশ খন্ড খন্ড ভাবে বেঁধে নিয়ে ঘের শুরু করেন। সেই থেকে এলাকার প্রায় শতাধিক মালিক তাদের ৫/৭ শত বিঘা জমির হারি কিংবা দখল না পেয়ে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। বঞ্চিত মালিকদের জমি উদ্ধার ও হারির টাকা আদায়সহ ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে জমি উদ্ধার ও সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। এনিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় আলোচনা শেষে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে আহবায়ক ও ওসি আশাশুনিকে সদস্য করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এবং বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ঘেরে পানি তোলাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে গণ বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়।
কমিটির সদস্যবৃন্দ ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘের এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। বঞ্চিত মালিকরা জনস্বার্থে মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি অসহায় পরিবারগুলোর জমি উদ্ধার ও হারির টাকা বুঝে পাবে বলে আশান্বিত হয়েছেন। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্যোগকে ব্যর্থ করতে জমিতে পানি উঠানোসহ ঘড়যন্ত্রে নেমেছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, দীর্ঘদিন অধিকার বি ত জমির মালিকরা চরম বিপাকে রয়েছেন।
বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে ঘড়যন্ত্রকারীদের কার্যকলাপে এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ শান্তিশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। এব্যাপারে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। এসময় কমিটির উপদেষ্টা নাসির উদ্দিন সরদার, সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সানা, সহ-সভাপতি এস এম খালিদুজ্জামান টিপু, কোষাধ্যক্ষ আশিকুজ্জামান আশিক, কার্যকরী সদস্য অরবিন্দু মন্ডল, নাছির ফরহাদ, সিদ্দিকুর রহমান সানা, সুব্রত বিশ্বাস, জাকির হোসেন শমীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।