পোষা বিড়ালের জন্য চাকরি ছাড়লেন এই যুবক
ভ্রমণ সঙ্গী নিজের পোষা বিড়ালের জন্য চাকরি ছাড়লেন এক যুবক! তার নাম ‘রিচার্ড ইস্ট’।
গোটা অস্ট্রেলিয়া ঘুরছেন স্লিপার ভ্যানে৷ তবে ভ্রমণ সঙ্গী হিসেবে কোনো মানুষকে নয়, বেছে নিয়েছেন পোষা বিড়ালকে৷ উইলো তার খুব পছন্দের পোষ্য৷ দু’জনের পারস্পরিক বোঝাপড়াও বেশ জোরালো৷
ইস্ট এটিকে বলছেন ‘দ্য মোস্ট ওয়েল-প্রিপেয়ার্ড মিড-ওয়াইফ ক্রাইসিস ইন হিস্টরি’৷ রিচার্ড চান তিনি ও তার ৬ বছরের বিড়াল উইলো পুরো অস্ট্রেলিয়ার যত রাস্তা আছে একটাও বাদ না দিয়ে শুধু ঘুরেই বেড়াবেন৷ এরপরই বেড়িয়ে পড়েন দুজন৷ তিন বছর পরেও তাদের ভ্রমণ শেষ হয়নি৷ তারা দুইয়ে মিলে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যান৷ একসঙ্গে মনে গেঁথে রাখার মত সুন্দর জায়গায় মনের আনন্দে বেড়ান৷
এভাবেই একে অপরকে সময় দিয়ে চলেছেন দুজনে৷ যেখানে কোনো দেনা পাওনার হিসাব নেই৷ নেই বাধ্যবাধকতাও৷ সেখানেই মজেছেন তামাম ইন্টারনেট ইউজার্স৷ চাওয়া পাওয়ার হিসাবের বাইরে থেকে এরকম বেহিসাবি ঘুরে বেড়াতে কে না চায়?
এই গল্পের শুরু হয় ২০১৪ সালে৷ সে বছরই বেড়ানোর জন্য আইটির চাকরিটা ছেড়ে দেন ইস্ট৷ তিনি বলেন, আমি দশ বছর ওই সংস্থার সঙ্গে চাকরি করেছি৷ তারপরও আমার প্রতিশ্রুতিময় লাগছিল না আমার পেশাটি৷ আমি লোকসান করেছি বলে মনে হতে থাকে৷
তিনি আরো বলেন, তখন আমি ভাবি মাস ছয়েকের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসব৷ কিন্তু সেই একই সমস্যার মধ্যে ফিরতে আমায়৷ এই ভাবনাটা মাথায় আসতে থাকে৷ এরপরই ভাবি নাহ৷ ছ’মাসের বেশি সময় দরকার৷ ছ’মাসে হবে না৷ এভাবে করতে করতে কেটে গেল অনেক সময়!
ইস্ট সিদ্ধান্ত নেন তার ভকসওয়াগন ভ্যানটি রিমডেল করবেন৷ সেটাকে বাড়ির মত তৈরি করে ফেলতে হবে৷ যাতে থাকবে বাড়ির মত সবরকম সুবিধা৷ তিনি জানান, তারপরেই ভ্যান লাইফের কথা মাথায় আসে৷ আমি নিজের বাড়ি বিক্রি করে দিই৷ যা কিছু আমি কিনেছিলাম সব বিক্রি করে দিই৷ আমার মাথার মধ্যে ছিল আমি কিভাবে জীবন কাটাব৷ তাই তারপর আমি কম খরচে জীবন যাপন শুরু করে দিই৷
আর কিছু ভাবতে চান না ইস্ট৷ এভাবেই কাটিয়ে দিতে চান সময়৷ তিনি ও তার উইলো মিলে যা ইচ্ছে তাই করতে চান৷ সেটাই করে চলেছেন৷ সেটাই করে যাবে ন৷ দুজনের এই সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার নয়৷