৯৭ বছর বয়সী বৃদ্ধের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং!
বর্তমান বিশ্বে যেখানে মানুষ শত আয়ুর কথা ভাবতেও পারে না সেখানে আরব আমিরাতে গাড়ি চালাচ্ছেন ৯৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স আগামী চার বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণকারী তেহেমতেন হোমি ধুঞ্জিবয় মেহতা সম্ভবত সেই প্রথম শতায়ু ব্যক্তি যিনি দুবাইয়ের সড়কে গাড়ি চালান। তার লাইসেন্সটি ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ। ঘটনাচক্রে, ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯৭ বছর বয়সী স্বামী প্রিন্স ফিলিপ স্বেচ্ছায় তার ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিয়ে দেন। কয়েক সপ্তাহ আগে একটি দুর্ঘটনায় দুই মহিলা গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান তিনি। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত।
ধুঞ্জিবয় মেহতা দুবাইয়ে একাই জীবন-যাপন করেন। এই বয়সে এসেও তিনি দৈনিক ৪ ঘন্টা হাঁটেন। এমনকি গাড়ির স্টিয়ারিংটিও তার কন্ট্রোলে থাকে। তিনি মনে করেন অত্যাধিক গাড়ির ব্যবহার মানুষকে পাগল করে দিয়েছে। দীর্ঘদিনের দুবাই বাসিন্দা মেহতা ২০০৪ সাল নাগাদ গাড়ি চালানো বন্ধ করলেও এখনো মাঝে মাঝে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি গণপরিবহন বা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছান। তিনি জানিয়েছেন, সিগারেট বা মদ কোনওটাই খান না তিনি এবং এটাই তার দীর্ঘায়ু প্রাপ্তির গোপন রহস্য। ১৯৮০ সালে তিনি দুবাইয়ে চলে আসেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত একটি পাঁচতারা হোটেলে হিসাবরক্ষণের কাজ শুরু করেন। সেখানে কর্মচারীদের নথিপত্র যাচাই করা হলে তার বয়স প্রকাশ পায়। স্বাভাবিক নিয়মেই তাকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
ধুঞ্জিবয় মেহতা এনডিটিভিকে বলেন, “আমার তখন ৮০ বছর বয়স, আমার কোনো পরিবারও নেই। তাই আমি আমার জমানো সঞ্চয় থেকে এই শহরের একটি আবাসনে এক কামরার একটি বাড়ি ক্রয় করি দুবাইয়ের নিরাপদ পরিবেশে জীবনযাপনের জন্য। আমি বিয়ে করিনি, আমার বোন যুক্তরাজ্যে থাকে, আমি প্রত্যেক গ্রীষ্মে তার কাছে যাই। ” মেহতার বেশিরভাগ বন্ধুরাই অনেকদিন আগে মারা গিয়েছেন। বর্তমানে তিনিও মৃত্যুর দিন গুণছেন। আর তাইতো তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি আল মিডফা এবং অ্যাসোসিয়েটসের সদস্যের সাহায্যে উইল করে রেখেছেন।