কেশবপুরের পল্লীতে গণপিটুনিতে নিহত নাঈম বিরুদ্ধে রয়েছে বহু চুরির মামলা

কেশবপুর উপজেলার হাড়িয়াঘোপ গ্রামের গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত নতুন মুলগ্রামের মশিয়ার রহমান সরদারের ছেলে আনিন নাঈম (২৪) ছিল একজন পেশাদার চোর।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভান্ডারখোলা এলাকায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন বাড়িতে গরু চুরি হচ্ছিল। খোপদহি গ্রামের আব্দুল জলিল, একই গ্রামের ফারুক হোসেন, মোমিনপুর গ্রামের মিজানূর সরদার, ভান্ডারখোলা গ্রামের জামাল উদ্দীন শেখ, একই গ্রামের আব্দুল জলিল মোড়ল, হাড়িয়াঘোপ গ্রামের রাশিদুল ইসলাম বিশ্বাস, একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দীন বিশ্বাসের গোয়াইল ঘর থেকে ইতিপূর্বে কয়েক লাখ টাকার গরু চুরি হয়ে যায়। চোরেরা গরু চুরি করে গোয়াল ঘরে লিখে রেখে যায় “গোয়াল তোমার গরু আমার”। যে কারণে গরু চুরি ঠেকাতে এলাকাবাসিরা প্রতি রাতেই পাহারা দিয়ে আসছিলো। গত ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাতে হাড়িয়াঘোপ গ্রামের আবদুস সোবহানের বাড়িতে গরু চুরি করতে আসলে এলাকাবাসিরা খবর পেয়ে চোরকে ধাওয়া দেয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরটি ভান্ডাখোলা গ্রামে রাস্তার পাশে একটি টিউবওয়েলে বেধে পড়ে যায়। এলাকাবাসীরা সেখানে তাকে মারপিট করলে সে নিহত হয়।
এদিকে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত আনিন নাঈম (২৪) ছিল একজন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে মূলগ্রামের প্রদীপ কংসবণিক, একই গ্রামের শংকর মন্ডল, ভোগতি কামাল হোসেন, দোরমুটিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ খাঁ, নতুন মূলগ্রামের খলিলুর রহমানের বাড়িতে চুরির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছিল। তাছাড়া চোর আনিন নাঈমের শিকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থেকে চুরির মালামাল উদ্ধার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে কেশবপুর ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি মামলা রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)