হীন্যমনতা পরিহার করে অধ্যাপক গোলাম আযমের প্রাপ্য সম্মান নিশ্চিত করতে হবেঃ মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ
আবু সাইদ বিশ্বাস: ভাষা আন্দোলনে শহীদ অধ্যাপক গোলাম আযমের অবদানের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহি পরিষদ সদস্য মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ বলেছেন, ‘অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সম্পূখ সারির নেতা। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ডাকসুর নির্বাচিত জিএস হিসেবে লিয়াকত আলী খানের কাছে স্মারক লিপিও পেশ করেছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে বারবার গ্রেফতার, কারাবরণ ও কলেজের চাকরি হারিয়েছিলেন। কিন্তু হীনমন্যতার কারণে তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি বরং ডাকসুর জিএসদের নাম ফলক থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ফলক থেকে নাম মুছে ফেলেই দেশ, জাতি ও ভাষা আন্দোলনে তার অবদান মুছে ফেলা যাবে না।’ তিনি হীন্যমনতা পরিহার করে সরকারকে অধ্যাপক গোলাম আযমের প্রাপ্য সম্মান দেয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার সকাল ১০টায় কলারোয় পাইলট হাই স্কুল মাঠে জামায়াতের যুববিভাগের আয়োজনে যুব র্যালি, আলোচনা সভা, ফ্রী ব্লাডগ্রুপিং ও মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের কলারোয়া যুব বিভাগের সভাপতি মু.শামছুল আলম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় কলারোয়া জামায়াতের আমির মাওলানা কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নের্তৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র—জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ও জাতি নতুন দিশা পেলেও দেশ এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি। এমন দিশা আমরা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পেয়েছিলাম। ওই দিন সিপাহী—জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করেছিল। কিন্তু সে ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। বিগত প্রায় সাড়ে ১৫ বছর দেশ ও জাতির ঘাড়ে আওয়ামী স্বৈরাচারের জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিল। দেশকে পরিণত করা হয়েছিল জুলুম—নির্যাতন, খুন—ধর্ষণ এবং দুর্নীতি—লুটপাটের অভয়ারণ্যে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের পরও আজও বৈষম্য দূর হয়নি। সকল রাজবন্দী মুক্তি লাভ করলেও অসুস্থ জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন।’ তিনি আবিলম্বে জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দুর্বার গণআন্দোনের মাধ্যমে জনগণ দাবি আদায় করেই ছাড়বে।তিনি সকল প্রকার হীনমন্যতা পরিহার করে শহীদ অধ্যাপক গোলাম আযমকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে দুপুর একটায় তালায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে যুব জামায়াতের র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। তালা যুব বিভাগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাক্ষ মুহাঃ ইজ্জত উল্ল্যাহ, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য ডাঃ আফতাব উদ্দীন, তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ মফিদুল হক , কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা শহিদুল ইাসলাম, ০৭ নং ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা ও সাবেক জেলা শিবির নেতা আনোয়ার হোসেন, খলিলনগর ইউনিয়ন আমীর মোঃ আকবর হোসেন।