সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই ইলন মাস্কের—– হোয়াইট হাউস
আন্তজার্তিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের দেশটির সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আনুষ্ঠানিক কোনো ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতাবিষয়ক বিভাগের (ডিওজিই) আনুষ্ঠানিক কর্মী নন মাস্ক।সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতে জমা দেওয়া নথিপত্রে এসব তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বিভাগ ডিওজিইর প্রধান হিসেবে মনে করা হয় মাস্ককে। দেশের সরকারি ব্যয় কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের লক্ষ্যে ক্ষমতায় বসার পর বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করেছেন ট্রাম্প। গত নভেম্বরে তিনি বলেছিলেন, ডিওজিইর নেতৃত্ব দেবেন ইলন মাস্ক।আদালতে নথিপত্র জমা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যালয়ের পরিচালক জশুয়া ফিশার। ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে নিউ মেক্সিকোসহ ১৪টি অঙ্গরাজ্যের করা একটি মামলার পর নথিগুলো জমা দেওয়া হয়।নথিতে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক হোয়াইট হাউসের একজন কর্মী এবং প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। হোয়াইট হাউসের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার মতো মাস্কেরও নিজ থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা নেই। তিনি শুধুই প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিতে পারবেন। তিনি ‘ডিওজিই সার্ভিস’ বা ‘ডিওজিই সার্ভিস টেম্পোরারি অর্গানাইজেশন’ এর কর্মীও নন।এদিকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে ট্রাম্প ও মাস্কের একটি যৌথ সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের কথা রয়েছে। তাতে ইলন মাস্কই হোয়াইট হাউস চালাচ্ছেন—সমালোচকদের এমন মন্তব্যের কড়া জবাব দিতে দেখা যায় ট্রাম্পকে।ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, ইতিহাসে আমার চেয়ে বেশি আর কাউকে নিয়ে খারাপ প্রচার–প্রচারণা হয়নি। তবে আমি কী শিখেছি, তা আপনি কি জানেন ইলন? (তা হলো) মানুষ স্মার্ট।’ এ সময় ইলন মাস্ক বলেন, ‘হ্যাঁ, আসলেই তারা (স্মার্ট)।