মশাল জ্বালিয়ে তিস্তা নদী রক্ষার দাবি জানালেন হাজার মানুষ
ডেস্ক রিপোর্ট: রংপুর বিভাগের ৫ জেলার বুকচিরে প্রবাহিত তিস্তা নদীর একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে এ মশাল মিছিল করেছে।অন্ধকার দূর করে আলোর মুখ দেখবে তিস্তা নদী পাড়ের চরাঞ্চলের মানুষ।প্রত্যাশায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তার চরে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিস্তার পাড়ের লালমনিরহাট পয়েন্টে মশাল মিছিল করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সম্পৃক্ত হাজারো মানুষ।তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলন সংগঠনের উদ্যোগে গোটা তিস্তার চরে প্রতিবাদ স্বরূপ হাজার হাজার তিস্তার তীরবাসী মশাল নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন।মশাল প্রজ্বলনে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা বলেন, তিস্তা নদীকে বাঁচাতে হবে, রংপুর বিভাগের মানুষকে বাঁচাতে হবে। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, তিস্তার দুই তীরে ২৪২ কিলোমিটার ও ৩৬০ কিলোমিটার অববাহিকায় এখন হাহাকার অবস্থা প্রতিবছর তিস্তা অববাহিকার দুই পাড়ে বিশ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়।প্রতিবছর ক্ষতি হয় ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। এ কারণে রংপুরের অর্থনীতি আজ পঙ্গু হয়ে পড়েছে। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের পাশাপাশি মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা নদীকে ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ফিরে আসবে এ অঞ্চলে। পাশাপাশি দুই কোটি মানুষের জীবন জীবিকা জীব-বৈচিত্র্য এবং পরিবেশ রক্ষা হবে।তিনি আরও বলেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক সেই সরকারকেই আমরা এর বাস্তবায়ন করার দাবি জানাবো।লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ ও রংপুরের গঙ্গাচড়া সড়ক সেতুর পয়েন্টে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের সরিষাবাড়ি ঘড়িয়াল ডাঙ্গা পয়েন্টে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উলিপুর পাকারমাথা থেতরাই পয়েন্টে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর সেতু পয়েন্টে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।