কালিগঞ্জে ১১ টি চোরাই সাইকেল উদ্ধার আটক -২

এমডি আরাফাত আলী: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ১১ টি সাইকেল ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে চোর ও দুই জন ব্যবসায়ীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের মৃত কেনা চৌকিদারের ছেলে রাজিবুল ইসলাম,পরমানানন্দ কাটি গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে ভাংড়ি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামনগর উপজেলার ভাংড়ি ব্যবসায়ী হাফিজুর ইসলাম। সোমবার দুপুর ১২ টার সময় ঘটনাটি ঘটেছে।
মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়ল জানান,গত চার দিন আগে মৌতলার লক্ষীনাথপুর গ্রামে ইসলামী মাহফিল থেকে একটি ভ্যান চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে যাওয়ার তিন দিন পরে ওই ভ্যান ভাংড়ি ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়।রুহুল আমিন চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়লকে বলেন ওই ভ্যান সে চোর রাজিবুলের কাছ থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধক রেখেছে। গত সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যান রাজিবুলকে গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে তার বাড়ি থেকে তুলে পরিষদে নিয়ে আসে। ওই ভ্যান রাজিবুল বন্ধক রাখেনি দুই হাজার টাকায় রুহুল আমিনের কাছে বিক্রি করেছে বলে সে জানায়। গত সপ্তাহ খানেক আগেও দুইটি চোরাই সাইকেল রুহুল আমিন তার কাছ থেকে কিনেছে বলে সে স্বীকার করে। রাজিবুল আরো স্বীকারোক্তি দেয় গত ছয় মাসের উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সে ৪৬ টি সাইকেল ও দুইটি ভ্যান চুরি করেছে। ওই চোরাইকৃত সাইকেলের মধ্যে ২০ টি সাইকেল কিনেছে হাফিজুর ও তার ছেলে বাবু। ১৫ টি বিক্রি করেছে আলমের কাছে, সিরাজের কাছে ৮ টি ও রুহুল আমিনের কাছে কাছে ৩ টি সাইকেল বিক্রি করেছে। চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চেয়ারম্যানের নির্দেশে দফাদার গ্রাম্য পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে চোরাই সাইকেল উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় মৌতলা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত সিরাজের দোকান থেকে ৬ টি, বাসস্ট্যান্ড মসজিদে মার্কেটে অবস্থিত হাফিজুরের দোকান থেকে দুইটি ও বাড়ি থেকে দুইটি। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার মাজাটে অবস্থিত রুহুল আমিনের গোডাউন থেকে একটি মোটর সাইকেল ও একটি সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দফাদার পৌঁছানোর আগে আলম দোকানে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে চোর রাজিবুল ও ভাংড়ী ব্যবসায়ী সিরাজ ও হাফিজুরকে চেয়ারম্যান পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে ব্যবসায়ী রুহুল আমিন,আলম ও বাবু এলাকায় না থাকায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
ফেরদাউস মোড়ল আরো বলেন,মৌতলার অধিকাংশ ভাংড়ি দোকানদার চোরদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে চোরাই মালামাল কেনাকাটা করেন। চোরদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করে দিয়েছে মৌতলার অধিকাংশ ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা। এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হারুনার রশিদ মৃধা বলেন, চুরির অভিযোগে রাজিবুলকে ও চোরাই মাল কেনার জন্য সিরাজুল ও হাফিজুরের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১১ টি সাইকেল ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে চোর স্বীকারোক্তি দিলেও ব্যবসায়ী রুহুল আমিন ও আলমের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)