সাতক্ষীরায় ইসলামী আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ও মরহুম কাজী শামসুর রহমান১৯তম মৃত্যু বাষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কিংবদন্তী—মরহুম কাজী শামসুর রহমানের ১৯তম মৃত্যু বাষিকী আজ। ২০০৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এদিনে তিনি সকল কে শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে পরোলোক গমন করেন। ১৯৩৭ সালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর গ্রামে কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিরলস সমাজকর্মী, সফল সংগঠক, ইসলামী চিন্তাবিদ, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি, সাতক্ষীরা সদর আসনের তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মরহুম কাজী শামসুর রহমান। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।সংসদের মসজিদে আজান ও নামাজের ব্যবস্থা, সাতক্ষীরায় আড়াই শ’ শয্যার হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, স্বল্প খরচে সমুদ্রপথে সহজ শর্তে হজ¦ করার ব্যবস্থা, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসা সরকারীকরণ, পতিতাবৃত্তি চালু রাখার ব্যবস্থা রহিতকরণ, সেনা, পুলিশ ও বিডিআর বাহিনীতে নামাজ আদায়ের সময় নির্দিষ্টকরণ এবং তাদের পারিবারিক সুবিধাসংক্রান্ত প্রস্তাব সংসদে তিনি পেশ করেছিলেন। কাজী শামসুর রহমান কর্মময় জীবনে মানুষের কল্যাণে যেসব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ সাতক্ষীরা শহর ও গ্রামাঞ্চলে রাস্তাঘাট তৈরি এবং আধুনিক যোগাযোগ স¤প্রসারণে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সরাসরি টেলিফোন ডায়ালিং ব্যবস্থার প্রবর্তন। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, মন্দির ও সেবা আশ্রমসহ নানা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন ও আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পল্লীবিদ্যুৎ পৌঁছানো, কালিগঞ্জ ও আশাশুনি ব্রিজনির্মাণ এবং নাভারন থেকে সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে বিশাল হাইওয়ে নির্মাণের জন্য তার নেতৃত্বে জামায়াতের এমপিরা সংসদে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি স্কলারশিপ নিয়েই লেখাপড়া শেষ করে ছিলেন। পিএন হাইস্কুল থেকে ১৯৫৪ সালে মেট্রিক, সাতক্ষীরা কলেজ থেকে ১৯৫৯ সালে আইএ এবং ১৯৬১ সালে বিএ পাস করেন। রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে বিএড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর থেকে ১৯৬৫ সালে এমএড অর্জন করেন। তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত, সাতানি ভদড়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক, লাবসা জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, কালিগঞ্জ পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, সাতক্ষীরার পল্লীমঙ্গল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও নাইট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।