আওয়ামীলীগের দোসর ইবাদুল এখন জামায়ত নেতা
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধিঃ গন অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভোল পাল্টে এখন আলীগ কর্মিরা এখন জামায়ত বিএনপিতে নাম লেখাতে শুরু করেছে অনেকেই। তেমনই রাতারাতি আওয়ামীলীগ নেতা থেকে জামায়ত নেতা বনে গেছে নগরঘাটার রাকিব অটো রাইস মিলের মালিক ইবাদুল সানা। অভিযোগ রয়েছে , নগরঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপুর সাথে মিশে নাম লেখান আওয়ামীলীগ কর্মীর খাতায়।এরপর থেকে তিনি নিজেকে বড় আওয়ামীলীগার হিসাবে জাহির করতে মাঠে ময়দানে কর্মী সম্মেলন করে বেড়াতেন। ওই সময় তৎকালীন এম.পি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ও লায়লা পারভিন সেজুতিকে নিয়ে তারই মিলে কর্মী সম্মেলন করেন। ওই সময় ইবাদুল শুধু ব্যাবসায়ী নন নিজেকে নেতা হিসাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার শপত নেন। এরপর থেকে আলীগ নেতা কর্মীর বহর নিয়ে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে বেড়াতে তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, গত৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ইবাদুল ভোলপাল্টে জামায়তে প্রোগাম নিয়ে ব্যাস্থ হয়ে পড়ছেন। তার এই বিতর্কিত কর্মকান্ডে হতভাগ হয়েছে অনেকে। এ ধরনের দোসরদের দল থেকে বিতাড়িত করে আইনের আওয়তায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপির নেতারকর্মীরা।
স্থানীয়রা সাংবাদকর্মী কামরুজ্জামান জানান, সৈরাচারের দোসর ইবাদুলে এই কর্মকান্ডে ইতিমধ্য তৃনমৃল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।শনিবার বিকাল নগরঘাটার মিঠাবাড়ি মাঠে তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তাকে ভবিষৎতে কোন দলে না ঢুকতে পারে সেজন্য অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।একই সাথে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে রাকিব অটো রাইস মিলের ইবাদুল সানার সাথে কথা বললে তিনি কোন দলের সর্মথক নন বলে জানান। তিনি শুধু মাত্র একজন ব্যাবসায়ী হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন।