সাতক্ষীরায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সাইক্লিং প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই এই স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের বাস্তবায়নে সাতক্ষীরায় এক বর্ণাঢ্য সাইক্লিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে সাইক্লিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
সাইক্লিং প্রতিযোগিতা সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শহরের বাইপাস, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হয়ে খুলনা রোড মোড়ে গিয়ে এ প্রতিযোগিতা শেষ হয়। ১২ কিলোমিটার সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় নানা শ্রেণি-পেশার শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতা শেষে জেলা স্টেডিয়ামে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানসহ ১০ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীদের মাঝেও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য তৈয়েব হাসান বাবু, মোফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু, সাংবাদিক জিল্লুর রহমান, মোহিনী তাবাসসুম ও সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার জয়ন্ত সরকার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী কামরুজ্জামান, মো. আলতাপ হোসেন,ইকবাল কবির খান বাপ্পি, জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আ. ম আখতারুজ্জামান মুকুল, ফজলুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, “সফলতার জন্য নৈতিকতা অপরিহার্য। সুস্থ ও সবল জীবন গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই। দেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। খেলায় হার-জিত থাকবে, তাই প্রতিযোগিতাকে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা করতে হবে।”
সাতক্ষীরায় আয়োজিত এই সাইক্লিং প্রতিযোগিতা তরুণ সমাজকে উৎসাহিত করেছে এবং সুস্থ ও ক্রীড়ামুখী জীবনধারার প্রতি তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করেছে। ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে এমন আয়োজন প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ধারাভাষ্যকার অলিউল ইসলাম।