আগরদাঁড়ীর যুবলীগ নেতা দালাল সোহরাবের ভয়ে এখনও আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধি:জুলাই গনঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার কোটা বিরোধী আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পদত্যাগ করে পলায়ন করলেও এলাকায় এখনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা, দালাল, চাঁদাবাজ ও মাদক সম্রাট সোহরাব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোহরাব হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো কাশেমপুর গ্রামের বুনো কবির। তার সাহচর্যে এসে শুরু করেন দালালী, বাটপারী, মাদক ব্যবসা। ২০১৩-১৪ সালের পর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শত শত অসহায় নিরীহ মানুষকে নাশকতার মামলা দিয়েছে সোহরাব। আগরদাঁড়ী, হরিশপুর, নারায়নজোল, চুপড়িয়া, বৈকারী, বাশদহা, কুশখালী ও সাতানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষকে জামাত শিবির বলে নাশকতার মামলার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতো সে। তৎকালীন সদর থানার ওসি এনামুল হক ও মোস্তাফিজুর রহমানের যোগসাজসে এবং এসআই হিমেল ও এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মালেকের সহযোগিতায় সাতক্ষীরাতে বিত্তশালীরাদের বাড়িতে যেয়ে রাতের আঁধারে আটক করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করেছে সোহরাব সরদার ও তার গ্যাং বাহিনী। তখন তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতনা। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে বেধড়ক মারপিট করতো যুবলীগ নেতা সোহরাব ও তার দলবল। পুলিশের সোর্স হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শতশত অভিযোগ থাকলেও মামলা নিতনা সদর থানা পুলিশ। ২০১৮ সালে বিএনপি জামাত সমর্থিতদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে জারজ সন্তান বলে গালি দিয়ে তার পোস্টার ছিড়ে ফেলে ও ধলবাড়িয়া কেন্দ্রে বেধড়ক মারপিট করে হরিশপুর গ্রামের নিরীহ মানুষদের। পট পরিবর্তনের পর সাময়িক কয়েকদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও আবারও এলাকায় এসে অপতৎপরতা শুরু করেছে সে। আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনারুল চেয়ারম্যান হত্যায় যৌথবাহিনী ও ডিবি পুলিশকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে সে। এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িত সে। তার কর্মকান্ডে এখনও আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।তার সম্পর্কে জানতে চাইলে আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, যুবলীগ নেতা সোহরাবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। তার জন্য এলাকায় ন্যায় বিচার করা খুবই কঠিন ছিলো। পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করা ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ৷ মদ খেয়ে, নেশা করে, যখন তখন মানুষ পিটাতো সে।সাতানী এলাকার মনিরুল বলেন, সোহরাব আমাকে পুলিশ দিয়ে ব্যাপক হয়রানি করেছে। আমাকে ক্রস ফায়ারে দিবে বলে দশ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলো। পরবর্তীতে কয়েক লাখ টাকা দিয়ে টিকে ছিলাম।
নারায়নজোল গ্রামের আঃ সবুর বলেন, সোহরাবকে টাকা দেয়নি জামায়াত-বিএনপি করা এমব মানুষ নারায়নজোল গ্রামে খুব কমই আছে। তার ভয়ে রাতে কোনো পুরুষ বাড়িতে ঘুমাতে পারতো না৷ আমাদের রাত কাটতো ধান ক্ষেতের আইলে, মাঠে ও বাগানে। এলাকায় কেউ গরু বিক্রি করলে তার বাড়ি রাতের আধারে পুলিশ নিয়ে হাজির হতো দালাল সোহরাব। অনতিবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহারেব ফোনে একাধিবার ফোন দিলে সে ফোনটি রিসিভ করেন নি।