দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর আগুন

ডেস্ক রিপোর্ট:রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-আগুনের পর দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক এমপিদের বাড়ি ও দলীয় অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ কমপক্ষে এক ডজনেরও বেশি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের স্মৃতিবিজড়িত ভবনসহ মাদারীপুর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও আরো কয়েকটি জেলায় দলীয় অফিস এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, যশোরসহ কমপক্ষে ১১ জেলায় শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, ‘কাউয়া কাদেরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ওবায়দুল কাদেরের এ বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে এ বাড়িতে কেউ বসবাস করতেন না। হামলার সময় ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা, ফজলুল কাদের মিন্টু এবং শাহাদাত হোসেনের বাসভবনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্তানা ভেঙে দিচ্ছে।
ভোলা প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ভোলা শহরের গাজীপুর রোডস্থ প্রিয় কুটির নামের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাসার সামনে হ্যান্ডমাইকে গান বাজিয়ে নাচতে থাকে। রাত ৩টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঝালকাঠি শহরের রোনালসে সড়কের বাসভবন ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা। এর আগে সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্কে অবস্থিত তার স্ত্রী ফিরোজা আমুর নামে থাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। পাশে ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের নামফলকও ভাঙচুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কোর কমপ্লেক্সে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি ম্যুরাল ভেঙে ফেলার পর সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগের স্মৃতিবিজড়িত নগরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত এ ভবনটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ভবনে বসেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বাড়িটি সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর।
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়াসহ এক্সকাভেটর দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলামের বাড়ি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের আলোচিত কর্মকর্তা বিপ্লব সরকারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে ভাঙচুরের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় তার বাসায় লুটপাট চালায়।
বরিশাল অফিস জানায়, বুধবার গভীর রাতে বরিশাল নগরীর দুটি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। কালীবাড়ি রোডের সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সেরনিয়াবাত ভবন বুলডোজার দিয়ে ভাঙার পাশাপাশি নগরীর বগুড়া রোডস্থ আমির হোসেন আমুর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এদিকে গতকাল বরিশাল প্রেস ক্লাবে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চৌমাথা পুকুর-সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ নেত্রীর নামে নির্মাণ করা সাহান আরা আবদুল্লাহ পার্কটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আড়ানীতে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের তিনতলা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ছাতারী এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
পিরোজপুর অফিস জানায়, বুধবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ালী লীগের সহসভাপতি সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের পাড়েরহাট রোডস্থ পৃথক বাসভবনে আগুন দিয়েছে ছাত্র-জনতা। মালেকের মালিকাধীন বাইপাস রোডে একটি পেট্রোল পাম্প এবং বলেশ্বর সেতুর টোলঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল ভোরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর শহরতলির খামকাটার বাড়ি ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুল হাইর মাছিমপুরের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস পাড়া এলাকায় অবস্থিত সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ির সামনের অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে বাড়িটির ভেতরে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এর আগে শহরের সরিষা হাটির মোড় এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনের বাসভবন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে ‘গণশৌচাগার’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।নাটোর প্রতিনিধি জানান, বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসভবন জান্নাতি প্যালেসে অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক মো. আবু রায়হান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই কুমিল্লায় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার কোনো চিহ্ন রাখা হবে না।’ এছাড়া আগের রাতে নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকায় সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া জানান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা জাসদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। এছাড়াও বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ফলক ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। রাত সোয়া ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এসব ভাঙচুর চলছিল।গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধা জেলা শহরের ডিবি রোডের রেলগেটস্থ জেলা আওয়ামী লীগের আধাপাকা টিনশেড কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে এক্সকাভেটর দিয়ে এই ভাঙচুর করা হয়।গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং চাচা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান মতির বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় জাহিদ আহসান রাসেলের মা ঐ বাসভবনে ছিলেন। পরে তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।লক্ষীপুর : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করার অভিযোগে লক্ষীপুরের সাবেক যুবলীগ নেতা এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাসের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র- জনতা। গতকাল বিকেলে হাতুড়ি-শাবল ও বুলডোজার দিয়ে বাড়িগুলোতে ভাঙচুর শুরু করেন তারা।

ফেনী : সাবেক তিন এমপির বাড়ি ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা বিমানবন্দর সড়কে সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বাড়ি, সোনাগাজীতে সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি ও একই উপজেলার সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর নানার বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

নোয়াখালী : সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেনের বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। গতকাল রাতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল।

এদিকে ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানান, মাদারীপুর শহরে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়, চুয়াডাঙ্গায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল এবং জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনা আবাসিক হলের নামফলক, পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শেখ রাসেল আবাসিক হলের নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ ম্যুরালসহ যশোরের সাতটি স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় মুজিব পরিবারের নামফলক ভেঙে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ রাসেলের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউজ মাঠসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ও ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রংপুরে বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছাসহ শেখ হাসিনার নামাঙ্কিত নগরীর বিভিন্ন স্থাপনার নামফলক উড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। খুলনা সরকারি বিএল কলেজে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। মিরসরাই উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)