পাটকেলঘাটায় কোর্টের জারিকারক আলমগীরের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমিদখল সহ আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপী গ্রামের লিয়াকত গাজীর বড়পুত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী আলমগীর গাজী সাতক্ষীরা দেওয়ানী কোর্টের জারিকারক হলেও পেশকারের পরিচয়ে অবৈধ ভাবে প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সাংবাদিক পিতার পৈত্রিক জমি দখলের চেস্টা ও পাটকেলঘাটার বিভিন্ন মানুষের জমির রেকর্ড সংশোধন করিয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন তাহার বিস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তৈলকূপী গ্রামের ভুক্তভোগী মোসলেম সরদার জানান, আমাদের দখলে থাকা ২৩ শতক জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য সাতক্ষীরা দেওয়ানী কোর্টে মামলা দায়ের করি। যার মামলা নম্বর ২২৪/২০২৪ এবং মামলা চলমান থাকা সত্বেও জোরপূর্বক জমি দখল নিতে বিভিন্ন সময়ে হামলা-মামলা ও হুমকির মাধ্যমে লেয়াকাত গাজীর পুত্রদ্বয় সাতক্ষীরা দেওয়ানি কোর্টের জারিকারক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অর্থদাতা আলমগীর গাজী(৪৫), আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুর গাজী(৩৮), ঢাকার যুবলীগ নেতা সাইফুল গাজী(৩৫) সহ সংঘবদ্ধ ভাবে দেশীও অস্ত্র প্রদর্শন করে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে দখলে বাধা দিতে গেলে আমার বড়পুত্র সরুলিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান কে হত্যার উদ্দেশ্য দলবদ্ধভাবে হামলা চালানোর চেস্টা করেন।
এছাড়াও ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত আর্মি রবিউল ইসলাম জানান, তালা এসিল্যান্ট অফিসের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে প্রতারক আলমগীর ও শাহিনুর গাজী আমার কাছ থেকে ১লাখ টাকা নিয়েছে কিন্তু কাজ করে দেয়নি। লোকমান সর্দার জানান, আমার বাড়ির জমিজমার কাজ করে দেবে বলে ৩৯ হাজার টাকা, মমতাজ বেগমের দলিল করে দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার, মাস্টার আব্দুল কুদ্দুসের ৬০ হাজার, শাহাজাহানের ১ লক্ষ ৮০ হাজার সহ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক আলমগীর ও শাহিনুর গাজী।
নাম প্রকাশে আরও একাধিক অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, নিজ এলাকায় চাকুরির সুবাদে জারিকারক আলমগীর সুকৌশলে কোর্টে বিভিন্ন মামলার তদবির করিয়ে দেওয়ার জন্য বিচারকের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ঘেরের বড় বড় মাছ ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। যেটা নিয়ম বহি:ভূত।
বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে আলমগীর ও শাহিনুর গাজী এলাকায় ক্রাসের রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে বিএনপি পরিবারের মাওলানা মোশাররফ হোসাইন এর ৬৩ বছরের ভোগ দখলীয় ১৫ শতাংশ ও গোলাম রসূলের কাছে বিক্রি করা ২৩ শতাংশ জমি জাল দলিলের মাধ্যমে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় দখল নিয়েছিল।
বর্তমানে ৫শে আগষ্ট পরবর্তী সময়ে ভোল্ট পালটিয়ে বিএনপি তে যোগ দেওয়ার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারেদ্বারে ঘুরছে।
এ বিষয়ে পেশকার দাবিদার প্রতারক আলমগীর গাজী কে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি সংযেগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।