দেবহাটায় মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটুক্তিকারি কুতুব উদ্দীনের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ, বাড়ি ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারি কুতুব উদ্দিন কাদেরি (৩৮) কে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে পারুলিয়া ইউনিয়নের শাঁখরা কোমরপুর, হাড়দ্দাহ, কুলিয়া, ভাঁতশালা ও পারুলিয়াসহ আশপাশের এলাকার হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।
দক্ষিণ কোমরপুর থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি প্রায় দুই কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করে উত্তর কোমরপুরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর চরিত্র সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারি আব্দুল হাকিম কাদেরির ছেলে ও পারুলিয়া ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্যা নুরবানু কাদেরির স্বামী কুতুব উদ্দীন কাদেরিকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য ও ¯েøাগান দিতে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নানা অপকর্মের দায়ে বারবার বিতর্কিত কুতুব উদ্দীন কাদেরিকে এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা চেনেন স্থানীয়রা।
বক্তৃতায় বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা বলেন, সম্প্রতি উত্তর কোমরপুরে একটি মসজিদে পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও মহানবীর চাচতো বোন উম্মে হানি বিনতে আবি-তালিব কে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন কুতুব উদ্দিন কাদেরি। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। তারা অবিলম্বে কুতুব উদ্দিন কাদেরিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলোক শাস্তির দাবি জানান।পরে বিক্ষুব্ধদের একটি অংশ কুতুব উদ্দিন কাদেরির বাড়িতে ভাংচুর করেন।এদিকে, বিশ্বনবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে যখন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছেন, তখন কুতুব উদ্দিন কাদেরি আত্মগোপনে থেকে নিজেকে বাঁচাতে দেবহাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও কোমরপুর দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল ইসলামসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তদবির শুরু করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এমনকি এসকল জামায়াত নেতাদের পরামর্শে শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে কুতুব উদ্দিন কাদেরি তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, স্ত্রী নূরবানু কাদেরী পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যা এবং নিজে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এলাকার মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, সরকারি সুবিধা দেয়ার নামে অর্থ-আত্মসাত, চোরাকারবারিদের থেকে মাসোয়ারা আদায় সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে এসেছেন অভিযুক্ত কুতুব উদ্দিন কাদেরি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠে কুতুব উদ্দিন-নূরবানু দম্পত্তি। তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও ভয়ে মুখ খুলতেন না এলাকাবাসি। ইতোপূর্বে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে জুম্মার খুতবায় বক্তব্য দেয়ায় স্থানীয় একটি মসজিদের খতিবকে মুসল্লিদের সামনে অপমান-অপদস্ত ও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে কুতুব উদ্দিন কাদেরির বিরুদ্ধে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)