কলারোয়ায় সাবেক মেম্বরের বিরুদ্ধে প্রবাসীর জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামে এক প্রবাসীর জমি দখল এবং তার ছোট শিশুসহ তিনজনকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেম্বর ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ গাজীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারী) দুপুরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ৫ আগস্টের পর ওই প্রবাসীর রেকর্ডকৃত ৬ কাঠা জমি দখল করে নেন আব্দুল লতিফ গংরা।

সরেজমিনে গেলে মানিকনগর গ্রামের প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সুমি খাতুন বলেন, ৫ আগস্টের পর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ গংরা আমাদের রেকর্ড ও ভোগদখলকৃত ৬ কাঠা জমি নেট দিয়ে ঘিরে দখল করে নেন। বিষয়টি নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির নেতারা স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বসাবসি করেন। কাগজপত্র দেখে জমি আমাদের বলে তারা রায় দেন এবং আব্দুল লতিফকে জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আব্দুল লতিফ জমি ছেড়ে না দিয়ে বরং আমাদের উপর চড়াও হন। বাড়ি ফিরে আমাদের নানানভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকেন এবং ওই জমিতে গেলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। ওই ঘটনার পর গত ২৮ জানুয়ারী দুপুর অনুমানিক ১ টার দিকে আমার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে আব্দুল লতিফদের জোরপূর্বক দখলকৃত ওই জমিতে গেলে আব্দুল লতিফ গাজীর ছেলে সাগর হোসেন, তার মেয়ে (২৪), উর্মি খাতুন ও স্ত্রী বিলকিস খাতুন গালাগালি দিতে শুরু করেন এবং মারপিট করে তার আঙুল ভেঙে দেই। আমার মেয়ের ডাক চিৎকারে আমার শাশুড়ি জামেলা খাতুন ও আমার জা জামেলা খাতুন এগিয়ে আসলে তারা জিআই পাইপ ও লাঠি নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার জা ও শাশুড়িকে পিটিয়ে আহত করেন। তারা আমার খলাত জা এর ঘরের খোলা ও মুরগির কোঠা ভাংচুর চালান। এরপর তারা বাড়ি চলে গেলে আব্দুল লতিফ এসে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে খুন জখমের হুমকি দেন। যাতে করে আমরা এ ব্যপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ওই ৬ শতক জমি আমি পৈত্রিকসূত্রে পেয়েছি। তবে ৯০ সালে তাদের পক্ষে রেকর্ড হয়েছে। এরপর আমি ৩১ ধারায় মামলা করি। তবে বিবাদীপক্ষ আমাকে আটকে রাখায় আমি আদালতে যেতে পারিনি। ফলে রায় আমার বিপক্ষে হয়েছিল। তবে দলিল যেহেতু আমার পক্ষে তাই আমি দখল করে নিয়েছি এবং জমি এখন আমার দখলে আছে।’
এছাড়া মারামারির দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। ফলে এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবোনা।’

জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ মুজিদ বলেন, কাগজপত্র ঠিক করে তারপর ওই জমি দখলের জন্য আব্দুল লতিফকে শালিসে বলা হয়েছিল। এরপর শুনলাম ওইখানে মারামারি হয়েছে। আমরা শালিস করেছি। কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। আমরা অন্যায়ভাবে কারো পক্ষে কখনও অবস্থান গ্রহণ করবোনা।

কলারোয়ার সরসকাঠি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। ওসি স্যারের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)