আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরও ১৫ দিন বাড়তে পারে
অনলাইন ডেস্ক:
ব্যক্তি করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এনবিআরের কর বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি হতে পারে বলে জানা গেছে।
এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর একটি প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছিল— ১৭ নভেম্বর এক মাস এবং ২৯ ডিসেম্বর আরও এক মাস তবে এসব বর্ধিত সময় শেষ হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি।
এনবিআর জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা ও অন্যান্য কারণে এবারও সময় বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
প্রতি বছরই নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হয়, যা এনবিআর এখনো বন্ধ করতে পারেনি।
বর্তমানে দেশে এক কোটির বেশি টিআইএনধারী (কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী) আছেন। তবে এর মধ্যে প্রতিবছর গড়ে ৪০ লাখের বেশি করদাতা রিটার্ন জমা দেন।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে— ১২ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। অনলাইন ও অফলাইনে মোট জমাকৃত রিটার্নের চূড়ান্ত হিসাব এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এ বছর কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর এনবিআরের আদেশ অনুসারে— ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সরকারি কর্মকর্তা, তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তা—এদের অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
বাধ্যতামূলক অনলাইন রিটার্নের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি।
অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করায় অনেক ব্যাংকার ও বেসরকারি খাতের কর্মচারীরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে জানা গেছে।
এবারও করদাতাদের জন্য রিটার্ন জমার সময় বাড়তে পারে, যা এনবিআরের দীর্ঘদিনের চর্চার ধারাবাহিকতা।
তবে নতুন নিয়মের কারণে অনেক করদাতা, বিশেষ করে বেসরকারি খাতের কর্মচারীরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
ফলে এনবিআরকে ভবিষ্যতে করদাতাদের হয়রানি কমিয়ে আরও সহজ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।